Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Unrest at Hasnabad

মদের দোকান দেরিতে খোলা নিয়ে গোলমাল

স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার সকালে লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান না খোলায় আলমগির গাজি নামে খানপুর পঞ্চায়েতের জয়গ্রামের বাসিন্দা এক যুবক তালা ভাঙার চেষ্টা করে।

রাস্তা অবরোধ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

রাস্তা অবরোধ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ছবি: নবেন্দু ঘোষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৪ ০৮:১০
Share: Save:

সকাল সকাল মদের দোকান কেন খোলেনি, সেই রাগে দোকানের তালা ভাঙার চেষ্টা করায় এক যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় দোকানদারেরা। পর দিন সেই যুবক বদলা নিতে দলবল নিয়ে চড়াও হয়ে স্থানীয় এক কাঠ মিস্ত্রিকে তুলে নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। হাসনাবাদ থানার বায়লানি বাজারের ঘটনা।

স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার সকালে লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান না খোলায় আলমগির গাজি নামে খানপুর পঞ্চায়েতের জয়গ্রামের বাসিন্দা এক যুবক তালা ভাঙার চেষ্টা করে। প্রতিবাদ জানান স্থানীয় দোকান মালিকেরা। অভিযোগ, মারধরও করা হয় আলমগিরকে। ঘটনাস্থলে এক ভিলেজ পুলিশকর্মী পৌঁছলে তাঁকে গালিগালাজ করে অভিযুক্ত যুবক। পরে হাসনাবাদ থানার পুলিশ অভিযুক্তকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হাসনাবাদ থানার বায়লানি বাজারে। পরে অভিযুক্তকে থানা থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

অভিযোগ, শনিবার রাত থেকে মদের দোকানের কর্মী ও বায়লানি বাজারের কয়েক জন ব্যবসায়ীকে ফোনে হুমকি দেয় আলমগির। রবিবার দলবল জুটিয়ে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ফের বায়লানি বাজারে আসে। অর্ধেন্দু ঘোষের মদের দোকানের সামনে এসে দোকানের কর্মী বিপ্লব দাসের উপরে চোটপাট করে বলে অভিযোগ। পাশের একটি দোকানের কর্মী দীপক দাসকে বাইকে করে আলমগিরের দলবল তুলে নিয়ে যায়।

দীপক বলেন, ‘‘আমি যেতে না চাইলে মুখে ঘুষি মারে। পাটলি খানপুর পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে হেনস্থা করে। পরে ছেড়ে দেয়।’’ এই ঘটনায় কিছুক্ষণের জন্য বাজারের ব্যবসায়ীরা বায়লানি-হাসনাবাদ রোড অবরোধ করেন। পরে আইসি গোপাল বিশ্বাস বাহিনী নিয়ে আসেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আইসির কাছে নিরাপত্তা দাবি করেন। আইসি দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।

গোটা ঘটনায় নাম জড়িয়েছে পাটলি খানপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য ও অঞ্চল সভাপতি পিন্টু মোল্লার। সূত্রের খবর, পিন্টুর কথাতেই দীপককে ধরে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে পিন্টু বলেন, ‘‘বায়লানির লোকেরা মারধর করে আলমগিরকে। তাই রবিবার কিছু ছেলে গিয়ে এক জনকে তুলে আনে। আমি জানতে পেরে বলি, পঞ্চায়েত অফিসের সামনে আমার কাছে আনতে। পরে বুঝতে পারি, যাঁকে আনা হয়েছে তিনি নির্দোষ। বিষয়টি বুঝেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’’ কেন পুলিশের কাছে অভিযোগ না করে তুলে আনা হল দীপককে? পিন্টুর ব্যাখ্যা, ‘‘ভুল হয়েছে। পুলিশকে জানালে ভাল হত।’’

পুলিশ জানায়, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Liquor Shop Hasnabad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE