সিগন্যাল না মেলায় রেডিয়ো কলার পরানো একটি বাঘের হদিস মিলছে না। বন দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, গত ১১মে ওই বাঘটির রেডিয়ো কলার থেকে শেষ বার সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্গত জঙ্গলে। তারপর থেকে সিগন্যাল না পাওয়ায় বাঘটির কোনও গতিবিধি জানা যাচ্ছে না।
বন দফতর সূত্র জানা গিয়েছে, যেহেতু ভারত ও বাংলাদেশের জঙ্গলের মধ্যে কোনও সীমানা নেই, তাই বাঘ নদী সাঁতরে যখনতখন এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে চলে যায়। এটা নতুন কোনও বিষয় নয়। এই বাঘটিও গত মাসে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে নদী সাঁতরে বাংলাদেশে যায়। তার রেডিয়ো কলার থেকে শেষ সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশের তালপট্টির জঙ্গলে।
সুন্দরবনের ব্যাঘ্র প্রকল্প দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের হরিখালি ক্যাম্পের হরিণভাঙা জঙ্গলের কাছে বাঘের আক্রমণে বিভিন্ন সময়ে একাধিক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়। গত বছর ২৮ ডিসেম্বর সাত বছর বয়স্ক এই পুরুষ বাঘটিকে ধরা হয়। তার গতিবিধি জানতে বন দফতর ও ডব্লিউডব্লিউএফের যৌথ উদ্যোগে তার গলায় রেডিয়ো কলার পরানো হয়।
এর আগেও ২০০৭, ২০০৮ এবং ২০১৬ সালে সুন্দরবনের একাধিক বাঘের গলায় রেডিয়ো কলার পরানো হয়েছিল। এগুলি মূলত আমেরিকার প্রযুক্তিতে তৈরি। যদিও বন দফতরের কর্তাদের দাবি, সুন্দরবনের নোনা জল, আবহাওয়ার কারণে এগুলি খারাপ হয়ে যায়। তাছাড়া বাঘ নদী সাঁতরে এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে যাতায়াত করে। নদীর নোনা জলও রেডিও কলার খারাপ হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তবে রেডিয়ো কলার বিকল হয়ে গেলেই যে বাঘের হদিস মিললে না, এমন নয়। বন দফতরের কর্তারা জানান, অতীতে সিগন্যাল না পাওয়ার পরেও বাঘের হদিস মিলেছে এবং তাকে সুস্থভাবে জঙ্গলে জীবনযাপন করতে দেখা গিয়েছে।
এই বাঘটির বিষয়ে রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) বিনোদকুমার যাদব বলেন, “রেডিয়ো কলার পরা বাঘটির বিষয়ে ডব্লিউডব্লিউএফ মনিটরিং করছে। বিভিন্ন কারণে রেডিও কলার খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া কোনও কারণে এগুলি খুলেও পড়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে, তা এখনই
বলা মুশকিল।”