অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।
হাসপাতালে বিষ প্রয়োগে মেরে ফেলা হতে পারে তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তাঁর মত, অনুব্রত সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলে বহু ‘কুকীর্তি’ প্রকাশ্যে আনবেন। তাই তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বপন। বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছে তৃণমূল।
স্বপনের বক্তব্য, ‘‘বগটুই-কাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড অনুব্রত মণ্ডল এখন পেট ফুলিয়ে উডবার্ন ওয়ার্ডে শুয়ে আছেন। আমার তো মনে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে তাঁকে আর ফিরতে দেবেন না। তার কারণ যদি উনি ফেরেন, তা হলে সিবিআইয়ের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সব কুকীর্তি উগরে দিতে হবে। তা হলে ভাইপো, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সকলে জেলে যাবে।’’ এই সূত্রেই তাঁর সংযোজন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল ভাবছেন, উডবার্ন ওয়ার্ডে শুয়ে শুয়ে সিবিআইয়ের হাত থেকে বেঁচে যাবেন। কিন্তু তা হবে না। আগামিদিনে ওঁকে সিবিআইয়ের দরজায় যেতে হবে, না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষাক্ত ইঞ্জেকশনে মরতে হবে। কারণ তৃণমূল ক্ষমতায় থাকার জন্য সব কিছু করতে পারে।’’
বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গোপাল শেঠের প্রতিক্রিয়া, ‘‘উনি সাধারণ মানুষের কাছে বিধায়ক হিসাবে আর পরিচিত নন। উনি অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে অসংলগ্ন কথা বলছেন। এ সব নিয়ে উনি কথা বলার কে? সিবিআইকে দিয়ে তো রাজনৈতিক ভাবে বিরক্ত করা হচ্ছে। আর এই বিষয়টি তো তদন্তসাপেক্ষ। ওঁর বলার কী অধিকার আছে? ওঁর বিরুদ্ধেই তো মাদক মামলায় অভিযোগ ছিল। বিজেপিকে পয়সা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। উনি জাল শংসাপত্র দিয়ে বিধায়ক হয়েছেন। ওঁর এই সব কথা বলার কী অধিকার আছে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy