চড় মারার ঘটনা তিনি দেখেননি বলে জানিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয় যুবকের গালে তৃণমূল কর্মীর সপাটে চড় মারার ঘটনা তিনি নিজের চোখে দেখেননি। এমনটাই দাবি চড়কাণ্ডের সময় ওই এলাকাতেই উপস্থিত রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে, ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা গ্রামে ‘দিদির দূত’ হয়ে গিয়েছিলেন রথীন। চড় মারার ঘটনার পর দেখা যায়, আক্রান্ত যুবক সাগর বিশ্বাসের কাঁধে হাত রেখে সান্ত্বনা দিচ্ছেন মন্ত্রী। দুঃখপ্রকাশও করছেন। পরে তিনি বলেন, ‘‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। কয়েশো মিটার দূরে ছিলাম। গোলমালের আওয়াজ কানে আসতেই সেখানে যাই।’’
আক্রান্ত যুবককে ঘটনার পর রথীনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। মন্ত্রীকে তিনি বলেন, ‘‘গতকাল মন্দির কমিটির তরফে আমরা বসেছিলাম। আলোচনা হয়েছিল যে এখানে রাস্তা খারাপ আছে, সেটা নিয়ে বলা হবে। কিন্তু, হঠাৎ করে আমার উপর চড়াও হল কেন স্যর? এটা আপনার কাছে আমার প্রশ্ন।’’ সাগরকে রথীন বলেন, ‘‘দুঃখিত ভাই।’’ এর পর সাগরের কাঁধে হাত রেখে তিনি বলেন, ‘‘ভাল থেকো। ছেড়ে দাও, আমি দেখছি।’’ রথীনের কথা শেষ হতে না হতেই তাঁকে ঘিরে থাকা তৃণমূল কর্মীরা সাগরের উদ্দেশে সমস্বরে বলে ওঠেন, ‘‘দাদা বলছে যখন...’’। পরে রথীন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি নিজের চেখে দেখিনি। তবে যদি এটা হয়ে থাকে সেটা ঠিক হয়নি।’’
কিন্তু কেন এমন হল? রথীনের কথায়, ‘‘এখানে কেউ কেউ বললেন, ক্লাবের অনেক গাছ ছিল। তা কেটে দিয়েছে। কেউ কেউ ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডা নিয়ে এখানে এসেছেন। এই অনুযোগ, অভিযোগ জানানোর জন্য আরও অনেক ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু সেটা না করে, খেলার মাঠে কে গাছ কেটেছে সেই সমস্যা আজকে আসবে কেন? এর মধ্যে আমরা কেন যাব?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যিনি মার খেয়েছেন, শুনলাম তিনি বিজেপির মণ্ডল কমিটির সদস্য।’’ যে তৃণমূল কর্মী মেরেছেন তাঁর সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy