১১ বছরের ছোট হবু জামাইয়ের সঙ্গে সংসার বাঁধতে ঘর থেকে পালিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের বধূ স্বপ্না। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁদের খুঁজতে শুরু করলে পরে অবশ্য থানায় ‘আত্মসমর্পণ’ করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন না-হওয়া জামাই রাহুল কুমারও। এ বার স্বপ্নাকে নিয়ে অন্য এক জল্পনা তৈরি হতে আবার খবরে উঠে এলেন তিনি। জল্পনা, তিনি অন্তঃসত্ত্বা এবং গর্ভের সন্তান রাহুলেরই! স্বপ্নার হাসপাতালে যাওয়ার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে মানুষের মনে। আর তার জেরেই জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন:
স্বপ্নার হাসপাতালে যাওয়ার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। আর তার পরেই তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া নিয়ে যাবতীয় জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ‘কিকি সিংহ’ নামে এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট হওয়া ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পুলিশের গাড়ি থেকে বেরিয়ে হাসপাতালে ঢুকছেন এক মহিলা। তাঁর মুখ ঘোমটায় ঢাকা। পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে, ওই মহিলা স্বপ্না এবং তিনি অন্তঃসত্ত্বা। পোস্টে লেখা, ‘‘হবু জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া সেই মহিলার কথা মনে আছে? এখন শাশুড়ি তাঁর জামাইয়ের সন্তানের মা হতে চলেছেন। পুলিশ তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছে। এই কলিযুগে আর কী দেখার বাকি আছে জানি না।’’ সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই হইচই পড়ে যায়। নেটাগরিকদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেও অনেকে বিষয়টি মেনে নিতে নারাজ। তাঁদের দাবি, এক জন মহিলা একাধিক কারণে হাসপাতালে যেতে পারেন। তার মানে যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা, এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই। হাসপাতাল বা পুলিশের তরফেও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, স্বপ্না ও রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বিয়ের ঠিক আগে কয়েক লক্ষ টাকার অলঙ্কার ও টাকা নিয়ে একসঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দাবি করেছে যে, তারা দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। অন্য দিকে, অভিযুক্তদের দাবি, তাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন। স্বপ্না তাঁর হবু জামাইয়ের প্রেমে পড়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যা-ই ঘটে যাক না কেন, ১১ বছরের ছোট প্রেমিক তথা মেয়ের বাগ্দত্তের সঙ্গেই সংসার পাতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩৮ বছরের তরুণী স্বপ্না।