Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

জাঁকিয়ে সেলের বাজার কাঁচরাপাড়ায়

চৈত্র মাস মানেই কেনাকাটার ভরপুর মরসুম। পুজোর বাজারের মতোই থিকথিকে ভিড় ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের প্রান্তিক শহর কাঁচরাপাড়ায়। কয়েক হাজার বড় দোকান ১ লক্ষ ৩০ হাজার বাসিন্দার এই পুর এলাকায়। সেলের বাজারে ভিড় সব থেকে বেশি শাড়ি আর জামা কাপড়ের দোকানে।

নজর: চলছে কেনাকাটা। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

নজর: চলছে কেনাকাটা। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁচরাপাড়া শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩৯
Share: Save:

চৈত্র মাস মানেই কেনাকাটার ভরপুর মরসুম। পুজোর বাজারের মতোই থিকথিকে ভিড় ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের প্রান্তিক শহর কাঁচরাপাড়ায়। কয়েক হাজার বড় দোকান ১ লক্ষ ৩০ হাজার বাসিন্দার এই পুর এলাকায়। সেলের বাজারে ভিড় সব থেকে বেশি শাড়ি আর জামা কাপড়ের দোকানে। কাঁচরাপাড়ার এই সেলের বাজার হার মানায় পুজোর বাজারকেও।

শুধু শনি-রবিবার নয়, সপ্তাহের অন্য দিনগুলিতেও কাঁচরাপাড়া স্টেশন থেকে নেমে স্টেশন রোড ধরে দু’পা এগোনো যায় না ভিড় ঠেলে। আনন্দবাজার, হকার্স কর্নার, মণ্ডল বাজার কাঁচরাপাড়ার প্রায় সব ক’টি দোকান সেলের বাজারে সরগরম থাকে গোটা মাস।

সাত সকালে কাঁচরাপাড়া রেল কলোনির বাসিন্দা মধুরিমা দত্ত, পিয়ালি অধিকারীরা স্টেশনের কাছে আনাজ বাজারে গিয়েছিলেন কেনাকাটা সারতে। পুষ্পালিদেবী বললেন, ‘‘টমেটো, ডাঁটা, ক্যাপসিক্যাম কিনতে গিয়ে দেখি সেখানেও সেল চলছে বলে হাঁক পাড়ছেন বিক্রেতারা।’’ আনাজ বাজারের বিক্রেতাদের দাবি, গরমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শাক, আনাজপাতি। তাই ‘সেলের বাজার’ হাঁক পেড়ে বাড়তি বিক্রিবাট্টার চেষ্টায় আছেন তাঁরাও।

কাঁচরাপাড়া হকার্স কর্নারে গরম পোশাকের দোকান জয়ন্ত বিশ্বাসের। উলের পোশাক-আশাকের বাজার এমনিতেই খারাপ এখানে সারা বছর তেমন ঠান্ডা পড়ে না বলে। তাই দোকানের স্টক খালি করতে সেল সেখানেও।

রানাঘাটে জুতোর দোকান আছে কাকলি চৌধুরীর। চৈত্র সেলের বাজারে তিনি এই নিয়ে পাঁচবার এলেন কাঁচরাপাড়ায়। বললেন, ‘‘বেশ কিছু ভালমানের এবং দামী জুতো প্রায় অর্ধেক দামে মেলে এ সময়ে। তাই নতুন মডেল কি এল বাজারে, সেলে সেটা দেখতে আসি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE