—প্রতীকী চিত্র।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে এক সিভিক ভলান্টিয়ার। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে এ বার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে বাবা-মাকে মারধর করে জোর করে সম্পত্তি লিখিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি হাবড়া থানার শ্রীনগর এলাকার।
রবিবার সিভিক ভলান্টিয়ার ছেলে সহ দুই পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মিলি অধিকারী নামে এক বৃদ্ধা হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।
অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম সুমিত অধিকারী। সে হাবড়া থানায় কর্মরত। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে মিলি জানিয়েছেন, তাঁর বয়স ৬৫। স্বামীরও বয়স হয়েছে। ছেলে-বৌমারা তাঁদের কেউ খেতে-পরতে দেয় না। উল্টে, সুমিত এবং দুই পুত্রবধূ তাঁদের দীর্ঘ দিন ধরে নির্যাতন করে আসছে। প্রায়ই সুমিত বাবা-মাকে গালিগালাজ করে। মারধর করে। জোর করে সম্পত্তি লিখিয়ে নিতে চায়। মিলি বলেন, ‘‘শনিবার বিকেলে সুমিত এবং পুত্রবধূরা আমাদের ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে। লুটপাট করে নিয়ে গিয়েছে। মারধর করেছে।’’ মিলির দাবি, তিনি টিউশন করে সংসার চালান। নিজের ওষুধের খরচ বহন করেন। তাঁর কাছ থেকে জোর করে সুমিত টাকা ছিনিয়ে নেয়।
সুমিতের দিদি মৌসুমী জানান, সুমিত তাঁকে আগে মারধর করেছিল। থানায় অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। তাঁর দাবি, ‘‘ভাই পুলিশের ভয় দেখায়। বলে, অফিসার তাকে কিছু করতে পারবে না। থানা নাকি তার হাতে!’’
পুলিশের একাংশ জানাচ্ছে, কেবল সুমিত নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যায়। পুলিশের সঙ্গে থাকতে থাকতে তারা নিজেদের পুলিশ ভাবতে শুরু করে। বিভিন্ন থানায় সিভিকদের দাপট চোখে পড়ার মতো। পথেঘাটে মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা কিছু সিভিক ভলান্টিয়ার। রাস্তায় পুলিশ যখন বাইক তল্লাশির কাজ করে, সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার থাকে। বাইক আরোহীদের থামিয়ে কথাবার্তা বলে তারা। এমনকী, বাইক থেকে চাবি পর্যন্ত কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ।
চাকরি পাওয়ার পর থেকে সুমিতের আচার-আচরণেও পরিবর্তন এসেছে বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সুমিতের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy