নিজস্ব চিত্র।
আশপাশে বহুতল নির্মাণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যারাকপুরের স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। স্মারক ভবনের দশাও বেহাল। বিভূতিভূষণের পুত্রবধূ মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে বুধবার ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। লেখকের পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়ে স্মারক ভবনটির সংস্কার করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
এলাকায় ওই বাড়ি ‘ভূতনাথ কুঠি’ নামেই পরিচিত। শোনা যায়, পথের পাঁচালি নিয়ে সিনেমা তৈরির অনুমতি নিতে ওই বাড়িতেই এসেছিলেন সত্যজিৎ রায়। এখন সেই বাড়িতে বিভূতিভূষণের ছেলে তারাদাসের স্ত্রী মিতা ও তাঁদের ছেলে তথাগত থাকেন। ওই বাড়িটির পিছনেই তৈরি হচ্ছে পুরসভার বহুতল। বহুতল নির্মাণের সময়ে বাড়িটির একাংশ ধসেও যায়। বর্যার সময়ে জল ঢুকে যায়। বার বার পুরসভার কাছে এ বিষয়ে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। তার পরই সরাসরি বিধায়ক রাজকে একটি চিঠি দিয়ে গোটা বিষয়টি জানান মিতা।
রাজের উদ্যোগে পুরসভার তরফে বিভূতিভূষণের বাড়ির সংগ্রহশালা সংস্কার করা হলেও স্মারক ভবনটি নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। তা খতিয়ে দেখতেই বুধবার সেখানে গিয়েছিলেন বিধায়ক। ব্যারাকপুরের সংস্কৃতিমনষ্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। ওই স্মারক কোথায় বসানো হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে রাজ জানান, ‘‘বাড়িটি আজ ঘুরে দেখলাম। পাশে বহুতল নির্মাণের জন্য বাড়িটির অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেগুলি ঠিক করে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। পাশাপাশি ইতিহাস বদলে না ফেলে স্মারক ভবনটির সংস্কার কী ভাবে করা যায়, তা-ও দেখছি।’’
ব্যারাকপুরের বাসিন্দা নাট্যকর্মী চন্দন সেন বলেন, ‘‘রাজ বিধায়ক হওয়ার পর আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। ভূতনাথ কুঠির সামনে একটি স্মারক তৈরি করার কথা বলেছিলাম তাঁকে। বহু সরকার এসেছে, কেউই বিভূতিভূষণের বসতবাড়ির সংস্কার নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেনি। রাজ এখন এই উদ্যোগ নিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy