ধৃত বাকি বিল্লা। —নিজস্ব চিত্র।
মাদক-সহ ফের গ্রেফতার হল বসিরহাটের আব্দুল বাকি বিল্লা মণ্ডল। শনিবার গভীর রাতে বসিরহাটের মাটিয়া এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়।
এর আগে অযোধ্যা বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লি স্টেশন থেকে গ্রেফতার হয়েছে। আবার কখনও জঙ্গিদের চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে ঢোকানোর অভিযোগে।
এ দিন রাতে এক সূত্রে পুলিশ জানতে পারে বাকি বিল্লা ওই এলাকার গাবতলার কাছে আসছে মাদক বিক্রির উদ্দেশে। পুলিশ সেখানে জাল পাতে। রাত ১২টা নাগাদ তাকে ধরা হয়।
জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চোরা পথে মানুষ পারাপার ও মাদক পাচারে যুক্ত বাকি বিল্লার কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। আগে দিল্লি পুলিশের হাতে সে গ্রেফতার হয়েছিল। সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
তা ছাড়া বাকি বিল্লা এখনও কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কিনা দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের ঢাকার ঘটনাতেও তার হাত আছে কিনা তার তদন্তও শুরু হয়েছে। এ দিন সকালে রাজ্য গোয়েন্দারা তাকে জিঞ্জাসাবাদ করেছেন। ১০ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার জন্য পুলিশ বসিরহাটের এসিজেএমের আদালতে আবেদন জানায়। আজ তাকে বারাসতের স্পেশাল কোর্টে তোলা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের সীমান্তবর্তী ইটিন্ডার গাছা গ্রামে বাড়ি বাকি বিল্লার বিরুদ্ধে জঙ্গিদের এ দেশে এনে বাড়িতে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় একাধিক খুন, ডাকাতি এবং মাদক পাচারের সঙ্গেও সে যুক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৫ সালে প্রথম জানা যায় জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মহম্মদের ঘনিষ্ঠ বাকি বিল্লা। সে সময়ে অযোধ্যায় বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স দিল্লি স্টেশনে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, সে সময়ে জেরায় বাকি বিল্লা গোয়েন্দাদের কাছে জানায়, ১৯৯৬ সালে সে বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিল। সেখান থেকে আফগানিস্তান। সেখানেই তার সঙ্গে জইশ-ই মহম্মদের ঘনিষ্ঠতা হয়। গোয়েন্দাদের দাবি, আফগানিস্তানে সে অস্ত্র প্রশিক্ষণও নেয়। এরপরেই অযোধ্যায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
দিল্লি নিম্ন আদালতে বাকি বিল্লার যাবজ্জীবন সাজা হয়। তবে ৭ বছর জেল খাটার পর উচ্চ আদালত থেকে ২০১২ সালে জামিন পেয়ে বাড়ি ফেরে সে। এরপরেও তার বিরুদ্ধে নানা অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে।
ধৃত বাকি বিল্লার দাবি, তাকে মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করছে। একাধিকবার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের দাবি, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর থেকে আসা এক সতর্ক বার্তার পর বাকি বিল্লার উপর নজর রাখা হয়েছিল। গত কয়েক দিন আগেও তার বাড়িতে কয়েকজন অপরিচিত মানুষকে ঢুকতে দেখা যায় বলে পুলিশের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy