—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বারুইপুরের রেল কোয়ার্টারে এক নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকতার পাশাপাশি রেলে চাকরি করতেন।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বারুইপুর রেল কোয়ার্টারে থাকতেন। অবসর সময়ে তিনি গৃহশিক্ষকতা করতেন। প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে পড়া বহু পড়ুয়া তাঁর কাছে পড়ত। অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত নির্যাতিতাও অভিযুক্তের কোয়ার্টারে পড়তে যেতেন।
অভিযোগ, পড়া বোঝানোর অছিলায় প্রায়ই ওই নাবালিকার গায়ে হাত দিতেন ওই গৃহশিক্ষক। অন্য পড়ুয়ারা চলে গেলে কোয়ার্টারে আটকে রেখে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হত বলেও অভিযোগ। আরও অভিযোগ যে, ধর্ষণের কথা বাইরে বলে দিলে নাবালিকাকে তো বটেই, তাঁর বাবা-মাকেও মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হত।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের মেয়ে সব সময় আতঙ্কে থাকত। কারও সঙ্গে বিশেষ কথা বলতে চাইত না। তার এই অদ্ভুত আচরণের কারণ বুঝতে না পেরে পরিবার ওই নাবালিকাকে একটি মানসিক রোগ নিরাময়ের হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে বেশ কয়েকটি কাউন্সেলিংয়ের পর ভয় কাটিয়ে মাকে সব কথা জানায় নির্যাতিতা। বিষয়টি জানার পরেই বারুইপুর থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। এই প্রসঙ্গে বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, “পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy