ধৃত: গ্রেফতার হয়েছে এরাই। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়।
গাড়ি থামিয়ে কপালে রিভলভার ঠেকিয়ে ২২ লক্ষ টাকা নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। তবে পুলিশের তৎপরতায় ধরা পড়েছে ৭ জন। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা।
ধৃতদের মধ্যে দেগঙ্গা আমুলিয়ার বাসিন্দা পঁয়ষট্টি বছরের বৃদ্ধ বাবুর আলিও আছে। বাকি ধৃতেরা হল সফিকুল গাজি, ওমর ফারুক, খোকন আলি, বিপ্লব মণ্ডল ও আলামিন ওস্তাদি। তাদের কাছ থেকে একটি রিভলভার, কয়েক রাউন্ড গুলি, বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ডাকাতিতে ব্যবহৃত গাড়ি এবং একটি মাছের গাড়িটি আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার দোগাছিয়ার টাকি রাস্তায় কালিয়ানি বিল সংলগ্ন এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার মুচিপাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী সৌরভকুমার গুনিন। তিনি বসিরহাট, হাড়োয়া এবং হাসনাবাদ এলাকায় মাছের আড়তগুলি থেকে মাছ কেনাবেচা করেন। তাঁর দুই কর্মচারী ওমর ফারুক গাজি ও ইয়াদ আলি সর্দার ওরফে পাগল একটি ছোট ট্রাকে করে মাছ ও টাকা নিয়ে আসার কাজ করত। ওই কর্মচারীদের ষড়যন্ত্রে এ দিন রাতে দুষ্কৃতীরা টাকা লুট করে।
পুলিশের দাবি, দুষ্কৃতীদের মাথা হাসনাবাদের বাসিন্দা ইয়াদ আলি সর্দার এবং ওমর ফারুক গাজি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসনাবাদ থেকে ছোট ট্রাকে করে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা নিয়ে ওই দুই ব্যক্তি-সহ তিনজন টাকি রাস্তা দিয়ে ধুলাগড় থেকে মাছ আনতে যাচ্ছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, রাতে দেগঙ্গা থানার দোগাছিয়া মোড়ে একটি হোটেলের সামনে গাড়ি রেখে সকলে চা খাচ্ছিল। পরিকল্পনামাফিক এক দল দুষ্কৃতী রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। ওমর ফারুক ও ইয়াদ আলি চা খেয়ে গাড়িতে উঠতে যাওয়ার সময়ে রাস্তার মাঝে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রিভলভার ঠেকিয়ে দুষ্কৃতীরা তাদের কাছে থাকা টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ইয়াদ-সহ তিনজনকে জেরা করে পুলিশ। তখনই জানা যায়, ঘটনার মূল পান্ডা ইয়াদ ও ওমর। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ইয়াদ এবং ওমর এর আগে তিনবার ওই মাছ ব্যবসায়ীর টাকা লুটের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু টাকি রোডে পুলিশের ভ্যান টহল থাকায় তাদের ছক ভেস্তে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy