সুরজ আলি।
সকালে থানায় এসে এক মহিলা জানিয়েছিল, সে তার স্বামীকে খুন করেছে। যা শুনে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে নিমতা থানার ফতুল্লাপুরের গোলবাগান এলাকায়। নিহতের নাম সুরজ আলি (৪৭)। তাঁকে খুনের অভিযোগে স্ত্রী সায়েমা বিবিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সুরজের ছেলে মিরাজকে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, পাইপ ও মোবিলের ব্যবসা করার পাশাপাশি ছোট মালবাহী গাড়িও চালাতেন সুরজ। সায়েমার সঙ্গে তাঁর বহু দিন ধরেই অশান্তি চলছিল। ২০১৯ সালে সুরজ ও সায়েমার দাম্পত্য কলহ সংক্রান্ত একটি মামলাও দায়ের হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার সুরজের মেয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল। ওই ব্যবসায়ীর ছেলে মিরাজ এবং তাঁর স্ত্রী-ও বাড়িতে ছিলেন না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই দিন দুপুরের পর থেকে সুরজ ও সায়েমাকে দেখা যায়নি।
এ দিন সকালে সুরজের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতে তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় করেন স্থানীয় লোকজন। বেলায় পুলিশ এসে একটি ঘরের বিছানায় পড়ে থাকা সুরজের দেহ উদ্ধার করে। দেহে পচন ধরে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বিষক্রিয়ার জেরে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর। এ ব্যাপারে সায়েমা দাবি করেছে, সে ট্যাবলেট জাতীয় কিছু সুরজকে খাইয়েছিল। ঘটনার সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর পারিবারিক অশান্তির কোনও যোগসূত্র আছে কিনা, তা জানতে সায়েমাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে পুলিশের কাছে এ-ও দাবি করেছে, মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে কারও না থাকার সুযোগে সুরজকে সে খুন করে। সেই দাবিও যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
সুরজদের এক প্রতিবেশী জানান, এ দিন সকালে তাঁরা জানতে পারেন, বাড়ির একটি ঘরে পড়ে আছে সুরজের দেহ। থানায় রয়েছে সায়েমা। ওই প্রতিবেশী আরও জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে ওই দম্পতিকে দেখা যায়নি। তাঁরা কোনও চিৎকার-চেঁচামেচিরও শব্দ পাননি।
ঘটনার খবর পেয়ে এ দিন বাড়ি ফিরে সুরজের মেয়ে জানায়, সে আত্মীয়দের মারফত খবর পেয়েছে, বাবাকে মেরে ফেলে মা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। এ-ও জেনেছে, তার মা নিজেই আত্মীয়দের ফোন করে বাবাকে খুন করার কথা বলেছিল। এক পুলিশকর্তা জানান, খুনের কারণ জানতে সায়েমাকে জেরা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা, তদন্তে তা খতিয়ে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy