Advertisement
১৩ নভেম্বর ২০২৪
Nungi

Illegal Firecracker: অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত প্রচুর চকলেট বোমা

এ দিন বারুইপুর পুলিশ জেলার চম্পাহাটির হাড়ালেও জোরদার তল্লাশি অভিযান শুরু হয়।

আটক: নুঙ্গি বাজারে বাজির দোকানে পুলিশের হানা। সোমবার।

আটক: নুঙ্গি বাজারে বাজির দোকানে পুলিশের হানা। সোমবার। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২১ ০৬:১২
Share: Save:

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পুলিশ জেলার চম্পাহাটি এবং ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার নুঙ্গি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ চকলেট বোমা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। সোমবার সকালে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। শব্দবাজি আটক করার পাশাপাশি বেআইনি ভাবে সেই বাজি মজুত করার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা।

এ দিন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহেশতলা ও বজবজ থানার পুলিশ আতশবাজির আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত নুঙ্গি এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। ওই এলাকার কয়েকটি বাজির দোকানে হানা দিয়ে পরিবেশবান্ধব বাজি নয়, এমন নানা ধরনের বোমার প্যাকেট উদ্ধার করে পুলিশ। সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্ট সব ধরনের বাজি বিক্রি ও ফাটানো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়ার পরেও ওই এলাকায় দোকান খুলে বাজি বিক্রি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এ দিন দুপুরে রাজ্যে পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর আবেদনে সায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে এ দিন মূলত শব্দবাজি উদ্ধার করার জন্যই ওই অভিযান চালায় পুলিশ। শব্দবাজি মজুত করার অভিযোগে নুঙ্গি এলাকা থেকে দু’জন বাজি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে।

এ দিনের তল্লাশি অভিযানের শেষে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘শুধুমাত্র তল্লাশি অভিযান নয়। নজরদারির পাশাপাশি নিষিদ্ধ বাজি ও আদালতের নির্দেশ নিয়ে সচেতনতার প্রচারও করা হচ্ছে। ওই সব এলাকায় কয়েকটি টহলদারি ভ্যান থেকে দিনভর সচেতনতার প্রচার করা হবে।’’

এ দিন বারুইপুর পুলিশ জেলার চম্পাহাটির হাড়ালেও জোরদার তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। বিভিন্ন দোকান ও গুদাম থেকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি-সহ নানা ধরনের আতশবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়। নিষিদ্ধ বাজি মজুত রাখার অভিযোগে সেখান থেকেও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশকর্তারা জানাচ্ছেন, চম্পাহাটি ও নুঙ্গি এলাকা থেকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি কলকাতা-সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া, কলকাতা থেকে ওই সব বাজি বেসরকারি পরিবহণের মাধ্যমে অন্য জেলা, এমনকি ভিন্‌ রাজ্যেও যাচ্ছে বলে খবর মিলছে। সেই কারণে কালীপুজোর আগে ওই সব এলাকা থেকে শব্দবাজি যাতে কোনও ভাবেই বাইরে যেতে না পারে এবং নিষিদ্ধ বাজি যাতে তৈরি না হয়, সে বিষয়ে কড়া নজরদারি করা হচ্ছে। শুধু বাজি বাজারই নয়, নিষিদ্ধ বাজি রুখতে রাস্তার বিভিন্ন জায়গাতেও নজরদারি ও তল্লাশি অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা।

অন্য বিষয়গুলি:

Nungi Champahati Firecrackers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE