Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
No Jetty Ghat

জেটিঘাটের অস্তিত্ব নেই, কাদাতেই যাতায়াত

জলকাদায় নৌকো থেকে ওঠানামার সমস্যা এড়াতে কাঁকারিয়া জেটিঘাটে বাঁধ থেকে নদীর চর পর্যন্ত বস্তায় বালি-মাটি ভর্তি করে সরু করে বিছিয়ে দিয়েছেন মাঝি।

নদীর চরে বস্তার ভিতর বালি ভোরে ফেলে দেওয়া আছে,তার উপর দিয়েই চলছে ঝুঁকির যাতায়াত।

নদীর চরে বস্তার ভিতর বালি ভোরে ফেলে দেওয়া আছে,তার উপর দিয়েই চলছে ঝুঁকির যাতায়াত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হিঙ্গলগঞ্জ শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৫১
Share: Save:

এক সময়ে কংক্রিটের জেটিঘাট ছিল। এখন একটি ইটও অবশিষ্ট নেই। নবপ্রজন্মের স্মৃতি থেকেও বিলুপ্ত হয়েছে কংক্রিটের জেটিঘাটের অস্তিত্ব। হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বিশপুর পঞ্চায়েতের কাঁকাড়িয়া জেটিঘাট ভেঙে নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। ফলে জলকাদার মধ্যে দিয়ে নৌকো থেকে ওঠানামা করতে হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, কাঁকাড়িয়া খেয়াঘাট থেকে ডাঁসা নদী পেরিয়ে সন্দেশখালি ১ ব্লকের ঘটিহারায় যেতে হয়। ঘটিহারা জেটিঘাটের অবস্থা ভাল। রোজ বিশপুর পঞ্চায়েত থেকে শতাধিক মানুষ ঘটিহারায় যাতায়াত করেন। কালীনগর বাজার, হাসপাতাল, কলেজে যাওয়া-আসা বা হিঙ্গলগঞ্জ ও হাসনাবাদ ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়ার জন্য এই ঘাট ব্যবহার জরুরি।

জলকাদায় নৌকো থেকে ওঠানামার সমস্যা এড়াতে কাঁকারিয়া জেটিঘাটে বাঁধ থেকে নদীর চর পর্যন্ত বস্তায় বালি-মাটি ভর্তি করে সরু করে বিছিয়ে দিয়েছেন মাঝি। এর উপর দিয়েই নৌকো থেকে ঘাটে উঠতে হয় যাত্রীদের। এ ভাবে কাদার মধ্যে দিয়ে শিশুকে কোলে করে বা সাইকেল নিয়ে নৌকোয় ওঠানামা করা ঝুঁকিপূর্ণ। মাঝি তারক দাস জানান, “বহু বছর ধরে এ ভাবেই পারাপার চলছে। কয়েক বছর ধরে বাইক নিয়ে যাত্রীরা নৌকোয় ওঠানামা করতে পারেন না। সাইকেল নিয়েও ওঠানামা ঝুঁকির। এই সমস্যার জন্য অনেকে এই খেয়াঘাট এড়িয়ে ঘুরপথে যাতায়াত করেন। যাত্রিসংখ্যা কমছে।”

খেয়া পারাপার হয় সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। জেটিঘাটে যাত্রী প্রতীক্ষালয় বা আলোর ব্যবস্থা না থাকায় রোদ-বৃষ্টিতে বা অন্ধকার হয়ে গেলে সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। রাস্তা থেকে জেটিঘাট পর্যন্ত কয়েকশো ফুট অংশে ইটের রাস্তাও তৈরি হয়নি। ফলে বৃষ্টি হলে টোটো থেকে নেমে জেটিঘাট পর্যন্ত কাদা ঠেলে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।

রমেশ বর নামে এক যাত্রী বলেন, “বৃষ্টির সময়ে সাইকেল কাঁধে করে, জুতো হাতে নিয়ে নৌকোয় ওঠানামা করতে হয়। পোশাক উঁচু করে কাদা ঠেলে যাতায়াত করতে হয় যাত্রীদের। দীর্ঘ দিন ধরেই এই দুর্ভোগ চলছে। খেয়াঘাট পর্যন্ত পাকা রাস্তা নাথাকাও সমস্যা বাড়িয়েছে। দ্রুত জেটিঘাট, যাত্রী প্রতীক্ষালয় ও রাস্তার ব্যবস্থা করা দরকার।”

বিশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান মানস দাস বলেন, “এই জেটিঘাট কংক্রিটের করার চেষ্টা চলছে। আশা করা যায়, দ্রুত দরপত্র ডাকা হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Hingalganj
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy