জয়ী: জসমিন।—সুজিত দুয়ারি
প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে হাবড়া ২ ব্লকের গুমা ১ পঞ্চায়েত এলাকায় শুরু হয়েছিল শাসকদলের কোন্দল। দলীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে শেষমেশ অবশ্য সব পক্ষকে শান্ত করে সর্বসম্মত ভাবে প্রধান নির্বাচিত হলেন শনিবার।
পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গুমা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য ১০। গতবার ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল। প্রধান ছিলেন জসমিন সাহাজি। তিনি এ বারও ভোটে জয়ী হয়েছেন।
এ বার তৃণমূল পায় ৭টি আসন ও বিজেপি পায় ৩টি আসন। স্বাভাবিক ভাবে এ বারও জসমিন ছিলেন প্রধান পদের দাবিদার। দলীয় নেতৃত্বও তাঁকে প্রধান করতে মনস্থির করে। কিন্তু তাতে দলেরই কয়েকজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির আপত্তি ছিল।
সমস্যা মেটাতে শুক্রবার অশোকনগরের বিধায়ক ধীমান রায় সকলকে নিয়ে বৈঠক করেন। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সেখানে বাদানুবাদ হয় দু’পক্ষের।
এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ, শুক্রবার রাতে এক জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে চড়াও হয়ে দলের কিছু লোক গেটের তালা ভাঙে। ইট পাথর ছোড়া হয়।
অন্য এক পরাজিত দলীয় সদস্যের চায়ের দোকানের বেঞ্চ ভাঙা হয়। যদিও কেউ থানায় কোনও অভিযোগ করেননি। সমস্যা মেটাতে অশোকনগর-কল্যাণগড়ের পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার ও হাবড়া ২ ব্লকের দলীয় সভাপতি বৃন্দাবন ঘোষ রাতভর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটান।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন জসমিন। উপপ্রধান হয়েছেন রিঙ্কু ব্যাপারী। তিনি ৭-৩ ব্যবধান জয়ী হয়েছেন।
বিধায়ক ধীমান রায় অবশ্য কোন্দলের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রধান নির্বাচন নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি। সর্বসম্মত ভাবেই প্রধান নির্বাচন হয়েছে। সামান্য তর্কাতর্কি হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy