ব্যারাকপুর হত্যাকাণ্ডে আটক। প্রতীকী চিত্র।
ব্যারাকপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পুত্রকে গুলি করে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল এক দুষ্কৃতীকে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নাম সানি। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে হাওড়ার বাঁকড়া থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও কিছু জানায়নি পুলিশ। সানি মাথা ন্যাড়া করে চেহারা বদলে আত্মগোপন করার চেষ্টা করেছিল বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর সিসি ক্যামেরার ছবি দেখে তদন্ত শুরু হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই চিহ্নিত করা হয়েছে সানিকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী এলাকায় একটি সোনার দোকানে হানা দেয় ডাকাতরা। দুষ্কৃতীদের বাধা দেওয়ায় তাদের গুলিতে মৃত্যু হয় দোকানের মালিকের পুত্র নীলাদ্রি সিংহের (২৯)। সেই ঘটনার দুই দিনের মাথায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে পেতে চান তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর ধৃত সানি কামারহাটি অঞ্চলের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভির সূত্রে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, দুই দুষ্কৃতী দু’টি মোটরবাইকে করে হাওড়া থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, কাশীপুর হয়ে ডানলপে পৌঁছয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে সানি চুরির দায়ে ধরা পড়েছিল। ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস জানিয়েছেন যে, ধৃত সানি মাথার চুল কামিয়ে ন্যাড়া হয়ে আত্মগোপন করেছিল। পুলিশ সিসিটিভির ছবি মিলিয়ে চিহ্নিত করে তাকে। সানির সূত্রে খুনের কারণ খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
নীলাদ্রির হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন রাজ্যের শাসকদলেরই নেতা অর্জুন সিংহ। এর পর অর্জুন পুলিশ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, ‘‘৪০ কেজির ভুঁড়ি নিয়ে হাঁটতেই পারে না। সে আবার অপরাধীদের ধরতে পারে নাকি!’’ তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেয় তৃণমূলও। অর্জুনের কণ্ঠে ‘বিরোধী স্বর’ ধরা পড়েছে বলে পাল্টা সরব হন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তবে তাঁর প্রতি দলের মনোভাব নিয়ে অর্জুন যে একেবারেই বিচলিত নন, তা ধরা পড়ে তাঁর পরবর্তী মন্তব্যে। তিনি বলেন, ‘‘ভুল তো কিছু বলিনি। যা বাস্তব সেটাই তো বলেছি।’’
ব্যারাকপুরে ডাকাতি এবং খুনের ঘটনা নিয়ে শুক্রবারও পুলিশকে বিঁধেছেন অর্জুন। তাঁর কথায়, ‘‘যেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই, সেখানে নিজে ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিতে লজ্জা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy