Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
Exchange of Rs 2000 notes

হঠাৎ কেন ২০০০ টাকার নোট বন্ধ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক? নেপথ্যে কি শুধুই ‘ক্লিন নোট পলিসি’?

আমজনতার কাছে ব্যাঙ্ক নোট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই ‘ক্লিন নোট পলিসি’ গ্রহণ করে।

Symbolic Image.

আপনার কাছে যদি ২০০০ টাকার নোট থাকে তা হলে তা কী করবেন? —প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৩ ১২:৪২
Share: Save:

আপনার কাছে কি ২০০০ টাকার নোট রয়েছে? যদি এই নোট আপনার কাছে থাকে, তা হলে কী ভাবে তা বদলাবেন? ২০১৮-২০১৯ সাল থেকেই ছাপানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে ২০০০ টাকার নোট। গত কয়েক বছরে এই নোটের পরিমাণও কমেছে বাজারে।

২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দির ঘোষণা করে ভারত সরকার। বাতিল হয়ে যায় ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট। এর পরেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ২০০০ টাকার নোট চালু করেছিল। নোট বাতিলের সাড়ে ছয় বছর পরে ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সকলকে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের অ্যাকাউন্টে ২০০০ টাকার নোট জমা দিতে বলেছে। অথবা কোনও ব্যাঙ্কের শাখায় অন্য মূল্যের নোটের সঙ্গে এই নোটগুলি বিনিময়ও করা যেতে পারে। এখন আপনার কাছে যদি ২০০০ টাকার নোট থাকে তা হলে তা কী করবেন? জেনে নিন।

এখন আপনার কাছে যদি ২০০০ টাকার নোট থাকে তা হলে তা কী করবেন? জেনে নিন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আইন ১৯৩৪-এর ধারা ২৪(১)-এর অধীনে ২০০০ টাকার নোট চালু করা হয়েছিল ২০২৬ সালে। আর সেই সময়ই ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোটের আইনি দরপত্র বাতিল করা হয়। তাই দ্রুত অর্থনীতিতে মুদ্রার প্রয়োজনীয়তা মেটাতে এই নোট চালু করা হয়। অন্যান্য মূল্যের ব্যাঙ্ক নোট বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আসার পর ২০১৮-২০১৯ সালে এই নোট ছাপানো বন্ধ হয়ে যায়। লক্ষ্য করা গিয়েছে, এই নোট সাধারণত মূল্য লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয় না। এই বিষয়গুলির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ‘ক্লিন নোট পলিসি’ অনুসরণ করে এই নোট বাজারে এনেছিল। বর্তমানে তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, এই বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, এটা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কারেন্সি অপারেশনের অংশ। দীর্ঘ দিন থেকেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি ক্লিন নোট পলিসি মেনে আসছে। আরবিআই একটি নির্দিষ্ট সিরিজের নোট প্রত্যাহার করে এবং নতুন নোটের সূচনা করে। আরবিআই বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করছে। কিন্তু সেগুলির আইনি টেন্ডার রয়েছে। বহু অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞের মতে, যে উদ্দেশ্য নিয়ে ২০০০ টাকার নোট চালু করা হয়েছিল, তার উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে গিয়েছে। এমনকি ২০০০ টাকার নোটের সর্বোচ্চ সংখ্যা হিসাবে ৬ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা থেকে প্রায় ৩ লাখ ২০০০ কোটিতে নেমে এসেছে। বন্ধ রয়েছে ২০০০ টাকার নোট ছাপানোও। অর্থাৎ বলা যেতেই পারে, যে নোটগুলির বাজারে রয়েছে, তার জীবনচক্রও প্রায় শেষ।

আমজনতার কাছে ব্যাঙ্ক নোট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই ‘ক্লিন নোট পলিসি’ গ্রহণ করে। এ ছাড়াও এই নোটের আইনি দরপত্র হিসাবে স্ট্যাটাস বজায় রয়েছে। অবশ্য, এই সময়ে দাঁড়িয়েও সাধারণ মানুষ লেনদেনের জন্য ২০০০ টাকার নোটের ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারে। তবে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই নোটগুলি জমা দেওয়া অথবা বিনিময় করে নিতে হবে।

আপনার কাছে ২০০০ টাকার নোট থাকলে কী করবেন?

আপনার কাছে যদি ২০০০ টাকার নোট থাকে, তা জমা অথবা বিনিময়ের জন্য ব্যাঙ্কের শাখায় যেতে পারেন। এই বিনিময়ের সুবিধা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ১৯টি আঞ্চলিক অফিসেও পাওয়া যাবে। আপনার অ্যাকাউন্টে কেওয়াইসি এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রকের প্রয়োজনীয়তা মেনে চললে কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই এই নোটের মাধ্যমে টাকা জমা করতে পারবেন। তবে জেনে রাখা ভাল যে, আপনি ব্যাঙ্কে গিয়ে ২০০০ টাকার নোটের মাধ্যমে একবারে ২০০০০ টাকা পর্যন্ত বিনিময় করতে পারেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Demonitised Currency Demonitisation RBI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy