সংরক্ষণে জোর দেওয়াতেই সাফল্য।
গত এক বছরে বহুবার বাঘের দেখা পেয়েছেন সুন্দরবনে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা। কখনও কখনও একসঙ্গে একাধিক বাঘের দেখাও মিলেছে। পর্যটন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মানুষজনের মতে, বারবার রয়্যাল বেঙ্গলের দেখা মেলায় সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকদের উৎসাহ বেড়েছে। এ বার সরকারি ভাবে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির ঘোষণায় পর্যটকদের আনাগোনা আরও বাড়বে বলেই আশাবাদী তাঁরা।
সারা দেশের বিভিন্ন জঙ্গলের পাশাপাশি সুন্দরবনে কত বাঘ আছে, তার ন্যূনতম আনুমানিক সংখ্যা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, সুন্দরবনে বর্তমানে নূন্যতম ১০০টি বাঘ রয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালে বাঘ গণনা হয়েছিল। সেই গণনায় দেখা গিয়েছিল সুন্দরবনে বাঘের ন্যূনতম সংখ্যা ৮৮। পরবর্তীকালে আরও তথ্য খতিয়ে দেখে জানা যায়, সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা ৯৬। এ বারও ন্যূনতম সংখ্যার ভিত্তিতে তথ্য খতিয়ে দেখে সুন্দরবনের প্রকৃত বাঘের সংখ্যা প্রকাশিত হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
এ বারের বাঘ গণনা শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। গোটা দেশের পাশাপাশি সুন্দরবনের জঙ্গল জুড়েও বসানো হয়েছিল প্রচুর স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা। সেই ক্যামেরার ছবি বিশ্লেষণ করেই শুরু হয় গননার কাজ।
বন দফতর সূত্রের খবর, সুন্দরবনের বসানো ক্যামেরায় অন্তত ১০০টি বাঘের সরাসরি ছবি মিলেছে। অর্থাৎ, বর্তমানে সুন্দরবনে অন্তত ১০০টি বাঘ আছে। এই গননারমধ্যে অবশ্য ব্যাঘ্র-শাবকদের ধরা হয়নি। অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখে আরও বাঘ আছে কি না তা জানা যাবে। তবে গত কয়েক বছরে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা যে বেড়েছে, সম্প্রতি প্রকাশিত এই পরিসংখ্যানে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
আর এর জেরেই আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সুন্দরবন পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত অন্যেরাও।খুশি বনকর্মীরাও।
পর্যটন ব্যবসায়ী নিউটন সরকার বলেন, “গত পর্যটন মরসুমে বহু পর্যটক বাঘের দেখা পেয়েছেন। জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা কিছুটা হলেও বেড়েছে বলেই মনে হচ্ছিল। পরিসংখ্যানও তাতেই সিলমোহর দিয়েছে। ফলে, আরও বেশি দক্ষিণ রায়ের দর্শন মিলবে জঙ্গলে। পর্যটকেরাও সুন্দরবনের প্রতি আরও আকৃষ্ট হবেন।”
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, “বেশ কিছু বছর ধরে বাঘের সংরক্ষণের উপর বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে। তারই ফল পাওয়া গিয়েছে। আগামিদিনে যাতে সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায় সেই চেষ্টাই আমরা করছি।”
দীর্ঘদিন ধরে বাঘ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক জয়দীপ কুণ্ডু বলেন, “বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির পূর্ণ কৃতিত্ব জলে-জঙ্গলে কাজ করা বনকর্মী ও জঙ্গলের প্রান্তিক মানুষের। ভারতের ব্যাঘ্র-প্রকল্প ভবিষ্যতে বিশ্বের বনপ্রাণ সংরক্ষণকে পথ দেখাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy