বড় তুষখালি থেকে মণিপুর যাওয়ার রাস্তার পাশের সৌরশক্তি চালিত বাতিস্তম্ভ অকেজো। ছবি: নবেন্দু ঘোষ।
গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাতেই আলো নেই। সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ডুবে যায় এলাকা। সমস্যায় পড়েন এলাকার মানুষ। দু’-এক জায়গায় বাতিস্তম্ভ বসানো হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। এমনই পরিস্থিতি সন্দেশখালি, হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জের অধিকাংশ জায়গাতেই।
হিঙ্গলগঞ্জের পশ্চিম মামুদপুর থেকে নেবুখালি পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশ জায়গাতেই আলো নেই। গুরুত্বপূর্ণ এই পথে ধরেই সুন্দরবনে আসেন পর্যটকেরা। দুলদুলি থেকে সামসেরনগর এবং যোগেশগঞ্জ থেকে হেমনগর পর্যন্ত রাস্তাতেও আলোর ব্যবস্থা নেই। হাসনাবাদ ব্লকের হাসনাবাদ কালীবাড়ি থেকে সন্দেশখালি ২ ব্লকের খুলনা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে সন্দেশখালি ২, হিঙ্গলগঞ্জ ও হাসনাবাদ ব্লকের বহু মানুষ যাতায়াত করেন। এই রাস্তার মধ্যে কয়েকটি বাজার এলাকা ছাড়া আর কোথাও তেমন আলোর ব্যবস্থা নেই।
সন্দেশখালি ২ ব্লকের কোরাকাটি পঞ্চায়েতের ধুচনিখালি বাজার থেকে তুষখালি ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তায় ৭টি সৌরশক্তি চালিত বাতিস্তম্ভ বসানো হয়েছিল বছর দুয়েক আগে। স্থানীয়দের দাবি, কিছুদিনের মধ্যেই তা অকেজো হয়ে যায়। এখন সন্ধের পর গোটা রাস্তাটাই অন্ধকার হয়ে যায়। এই পঞ্চায়েতের মথুরা বাজার থেকে কোরাকাটি হাটখোলা পর্যন্ত প্রায় দশ কিলোমিটার রাস্তাও সন্ধের পর ডুবে যায় অন্ধকারে। এখানেও নামমাত্র কয়েকটি আলো বসানো হয়েছিল। কিন্তু তা এখন আর জ্বলে না। তুষখালি ফেরিঘাট থেকে মণিপুর পঞ্চায়েত পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশ জায়গাতেও কোনও আলো নেই। এই রাস্তা দিয়ে মণিপুর এবং কোড়াকাটি— দুই পঞ্চায়েতের মানুষ যাতায়াত করেন।
এলাকার মানুষজন জানান, ছোট-বড় সহ গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাই অন্ধকারে ডুবে থাকে সারা বছর। চলাচলে অসুবিধা হয়। সন্ধের পর দুর্ঘটনাও ঘটে। আলো লাগানোর ক্ষেত্রে তেমন উদ্যোগী হয় না প্রশাসন। মাঝেমধ্যে আলো লাগানো হলেও তা খারাপ হলে আর সংস্কার করা হয় না।
সন্দেশখালি ২-এর বিডিও অর্ণব মুখোপাধ্যায় বলেন, “কিছু জায়গায় সৌরশক্তি চালিত আলো বসানো হয়েছে। আরও কিছু জায়গায় আলো বসানোর চেষ্টা করা হবে।” হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও শাশ্বতপ্রকাশ লাহিড়ী বলেন, “যতটা সম্ভব আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাস্তাগুলোতে আরও আলোর ব্যবস্থা করা হবে।” সন্দেশখালি ১ ব্লকের বিডিও সুপ্রতিম আচার্য বলেন, “গত এক বছরে গোটা ব্লকে ৩০-৪০টি সৌরশক্তি চালিত আলো বসানো হয়েছে। আরও আলো বসানোর কাজ চলছে।” হাসনাবাদের বিডিও অলিম্পিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাতে পর্যাপ্ত আলো বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy