প্রতীকী চিত্র।
আসন সংরক্ষণের গেরোয় জেতা ওয়ার্ড থেকে সরতে হতে পারে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অন্তত পাঁচ জন পুরপ্রধানকে। শুক্রবার জেলা প্রশাসন থেকে যে আসন সংরক্ষণের যে খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে পুরপ্রধানদের সঙ্গে আসন বদলাতে পারে উপ পুরপ্রধান-সহ বেশ কয়েক জন চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলও।
তবে মাসখানেক আগে ব্যারাকপুরের পুরসভাগুলিকে নিয়ে সরকার কর্পোরেশন গঠনের কথা ঘোষণা করেছিল। যদি তা হয়, তা হলে আটটি পুরসভার ভোট আপাতত স্থগিত রাখা হতে পারে। তা না হলে এই তালিকা অনুযায়ী ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সে ক্ষেত্রে বর্তমান পুরপ্রধানদের জন্য নতুন আসনের খোঁজ করতে হবে শাসক তৃণমূলকে। গত লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর আসনটি বিজেপির দখলে গিয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় সংগঠনকে জোরদার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গেরুয়া বাহিনী। ফলে বর্তমান পুরপ্রধানদের জন্য নিরাপদ আসন খোঁজাটাই তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কাঁচরাপাড়ার বর্তমান পুরপ্রধান সুদামা রায় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এ বার সেই আসনটি তফসিলি জাতির প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। আসন সংরক্ষণের জেরে কাঁচরাপাড়ার উপ পুরপ্রধান রমেন মল্লিকও তাঁর বর্তমান ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়তে পারবেন না। সেটিও তফসিলি প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত।
হালিশহরের পুরপ্রধান অংশুমান রায়ের বর্তমান ১৫ নম্বর ওয়ার্ডটি এ বার মহিলা প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, বর্তমানে চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল মৃত্যুঞ্জয় দাসের ওয়ার্ডটিও মহিলা প্রার্থীর জন্য রাখা হয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া হাজিনগরের কাউন্সিলর অশোক যাদবের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডটিতেও এ বার মহিলা প্রার্থী দিতে হবে সব দলকেই।
নৈহাটির পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় এ বার আর তাঁর বর্তমান ওয়ার্ড ২৮ নম্বর থেকে লড়তে পারবেন না। ওই ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। তবে তাঁর পুরনো ওয়ার্ড ১৮ নম্বর ওয়ার্ডটি এ বার সংরক্ষিত নয়। গত বার সংরক্ষণের জন্যই তাঁকে ওয়ার্ড বদলাতে হয়েছিল। নৈহাটির পুরপ্রধান পারিষদ সনৎ দে-র ২১ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। অন্য পুরসভার তুলনায় ভাটপাড়ার পদাধিকারীদের ওয়ার্ডে কোপ কম পড়েছে। এক চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ছাড়া আর কোনও পদাধিকারীর ওয়ার্ড বদলাচ্ছে না।
নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংহ বিজেপিতে যাওয়ায় অনাস্থা এনে গারুলিয়ার পুরপ্রধানের পদ থেকে তাঁকে অপসারিত করেছিল তৃণমূল। তাঁর ভাই সঞ্জয় সিংহ পুরপ্রধান হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডটি এ বার তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা, বিজেপির গৌতম বসুর ৪ নম্বর ওয়ার্ডটি এ বার মহিলা প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত।
উত্তর ব্যারাকপুরের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল অভিজিৎ মজুমদারের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। ভোটে লড়লে টিটাগড়ের পুরপ্রধান প্রশান্ত চৌধুরীকে বর্তমান আসন বদলাতে হবে। তাঁর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডটি এ বার মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে তাঁর আগের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিনি লড়তে পারবেন। সেটি গত বার সংরক্ষিত হওয়ায় তাঁকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়তে হবে। ওই পুরসভার দুই চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমপ্রকাশ সাউ এবং ২৩ নম্বরের কাউন্সিলর তারকেশ্বর চৌধুরীর ওয়ার্ডটিও এ বার সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। ব্যারাকপুরের উপ পুরপ্রধান দেবাশিস ঘোষদস্তিদারের ৬ নম্বর ওয়ার্ডটি এ বার মহিলা প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডটিতে এ বার কেবলমাত্র মহিলারাই লড়তে পারবেন। ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর সুপ্রভাত ঘোষ চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy