নির্যাতিতা তরুণী (বাঁ দিকে)। ডান দিক থেকে উপর থেকে প্রেমিকের মা এবং প্রেমিক। —নিজস্ব চিত্র।
বেশ কিছু দিনের আলাপ তাঁদের। শারীরিক ঘনিষ্ঠতাও হয়েছে বলে দাবি তরুণীর। কিন্তু বিয়ে করতে চাইতেই বেঁকে বসেন প্রেমিক। এ নিয়ে আলোচনার জন্য যুবকের বাড়িতে যেতেই প্রেমিকার চুল কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে ওই ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর এলাকায়। বারুইপুর থানায় একটি অভিযোগও দায়ের হয়েছে। নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁদের বিয়ে নিয়ে কথাবার্তা বলতে তিনি প্রেমিকের বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কোনও কথাই বলতে চাননি প্রেমিক। বরং তাঁকে অপদস্থ করতে থাকেন প্রেমিক এবং তাঁর পরিবারের লোকজন। প্রতিবেশীদের ডেকে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তরুণীর। এর পর তরুণীকে পিছমোড়া করে ধরে রাখেন প্রেমিক এবং তাঁর মা কাঁচি দিয়ে তরুণীর চুল কাটতে থাকেন। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ওই তরুণী চিৎকার করে নিজেকে ছাড়াতে চাইছেন। কয়েক জন তাঁকে ঘিরে রয়েছেন। কিন্তু কেউ তরুণীকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেননি। ওই সময় এক যুবক এবং মহিলাকে দেখা যায় কাঁচি দিয়ে তরুণীর চুল কেটে ফেলছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, ওই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ভাইরাল করার অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
এই ঘটনায় বারুইপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা দাবি করেছেন, তিনি বিয়ের জন্য চাপ দিতেই তাঁকে এ ভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। অভিযুক্তের বাড়ি বারুইপুর থানা এলাকায়। নাম শেখ রাজ আলি। নির্যাতিতার দাবি, সমাজমাধ্যমে তাঁদের আলাপ-পরিচয় হয়। সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। পরে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি তিনি বিয়ের কথা বলতেই টালবাহানা শুরু করেন রাজ। সম্পর্কও রাখতেও তিনি অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে আলোচনার জন্য তাঁর বাড়িতে যেতেই তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা হতে হয় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তরুণী। এমনকি, তাঁকে চোর অপবাদ দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে ওই যুবক এবং তাঁর মা মীনা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ নিয়ে এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy