Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

পিকনিকে তারস্বরে বাজছে সাউন্ড বক্স, সমস্যায় মানুষ

একটি ম্যাটাডোর। তাতে সাজানো গোটা দ’শেক সাউন্ড বক্স। শব্দ দূষণের তোয়াক্কা না করে গাঁক গাঁক করে বাজছে গান। কান ফাটানো আওয়াজে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে পথচারী— সকলেই। এক গাড়িতে গান তো পাশের গাড়িতে চলছে মদ্যপ যুবকদের বিপজ্জনক নাচ।

পিকনিক যাওয়ার পথে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

পিকনিক যাওয়ার পথে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৪৫
Share: Save:

একটি ম্যাটাডোর। তাতে সাজানো গোটা দ’শেক সাউন্ড বক্স। শব্দ দূষণের তোয়াক্কা না করে গাঁক গাঁক করে বাজছে গান। কান ফাটানো আওয়াজে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে পথচারী— সকলেই। এক গাড়িতে গান তো পাশের গাড়িতে চলছে মদ্যপ যুবকদের বিপজ্জনক নাচ। রাস্তায় লোকজন দেখলে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করছে তারা। যে কোনও সময়ে গাড়ি থেকে পড়ে দুর্ঘটনাও বিপদে পড়তে পারে পিকনিক পার্টির লোকজন। শীতের মরসুম পড়তেই টাকি রোড, যশোর রোড, বনগাঁ-বাগদা রোড, রামনগর রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দেখা যাচ্ছে এই চিত্র।

শীতের মরসুম পড়তেই শুরু হয়েছে পিকনিক। অল্প বয়সী যুবকেরা গাড়িতে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে পিকনিক করতে যাচ্ছেন। ওই সাউন্ড বক্সের আওয়াজে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই অসুস্থ বোধ করছেন। শুধু তাই নয়, সরকারি অফিস, স্কুল, হাসপাতালের পাশে দিয়ে যাওয়ার সময়ও ওই বক্স বাজানো হচ্ছে।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসন এ বিষয়ে পদক্ষেপ করলে এ ক’দিন রাস্তাঘাটে শান্তিতে চলাফেরা করা যাবে। পদক্ষেপ করার আশ্বাস মিলেছে জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের কথায়। তিনি বলেন, ‘‘টাকি বা পারমাদনের মতো পিকনিক স্পটগুলিতে সপ্তাহের শনি ও রবিবারগুলিতে বিশেষ পুলিশ অভিযান শুরু করা হচ্ছে।’’ কিন্তু রাস্তার সমস্যা নিয়ে কী করবে পুলিশ, সে প্রশ্নের উত্তর মিলছে না।

শীতের মরসুমে বসিরহাটের টাকি, বাগদার পারমাদন, গোবরডাঙায়, গাইঘাটার ডুমার বাওর সংলগ্ন এলাকা হোক বা সাতভাই কালীতলা, বনগাঁর মাধবপুরে, হাবরাতে মানুষ পিকনিক করতে আসেন। শুধু রাস্তায় নয়। যেখানে পিকনিক করা হয় সেখানেও জোরে জোরে গান বাজানো হচ্ছে। এতে আশেপাশের লোকেদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। বনগাঁর উপর দিয়েও চলছে ওই শব্দ তাণ্ডব। শহরের এক মানবাধিকার কর্মী তথা সাহিত্যিক দেবাশিস রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘যে ভাবে সাউন্ড বক্স বাজানো হচ্ছে তা অসম্ভব ক্ষতির কারণ। পরিবেশ দূষণ তো হচ্ছেই। যাঁরা ওই ভাবে যাচ্ছেন তাঁদের পক্ষেও বিপজ্জনক। সর্তক থাকা উচিত যাতে আনন্দ করতে গিয়ে কোনও বিপদ না হয়।’’

চিকিৎসেকরা জানান, যে শব্দ বাজানো হচ্ছে তা কানের ও হার্টের পক্ষে ক্ষতিকর। সমস্যা দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি এক বৃদ্ধা ভ্যানে যাওয়ার সময় ওই আওয়াজে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বনগাঁয়। টাকির সাধারণ মানুষও ক্ষুব্ধ। টাকি পৌর নাগরিক কমিটির সদস্য অধীর পাল বলেন, ‘‘জোরে সাউন্ড বক্স বাজানো বন্ধের দাবিতে পুরসভায় বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Loud sound box distress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE