বাসন্তী হাইওয়ে। ফাইল চিত্র
সাক্ষাৎ মৃত্যু-ফাঁদ যেন! গত দু’বছরে বাসন্তী হাইওয়ের শুধু কলকাতা পুলিশের অংশেই মৃত্যু ২৬ জনের। জখম বহু। বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, বেশির ভাগ দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ বেপরোয়া গতি বা টক্কর দেওয়ার প্রবণতা। এই সমস্যার সুরাহা কী ভাবে, তা জানতে খড়্গপুর আইআইটি-কে সমীক্ষা করার প্রস্তাব দিল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, শহরের পথ-নিরাপত্তা নিয়ে ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল লালবাজার। পরিবহণ দফতরের সহযোগিতায় খড়্গপুর আইআইটি-র বিশেষজ্ঞেরা প্রশিক্ষণ দেন। তখনই আইআইটি-র বিশেষজ্ঞদের কাছে পুলিশের আধিকারিকেরা বাসন্তী হাইওয়ের সমস্যার কথা বলেন। সেখানে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, সে বিষয়ে সমীক্ষা করার অনুরোধ জানান। মা উড়ালপুলে যানজট কী ভাবে কমানো যায়, তারও পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, পুলিশের প্রস্তাবে বিশেষজ্ঞেরা মৌখিক সম্মতি জানালেও আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে।
সায়েন্স সিটির কাছ থেকে ভোজেরহাট পর্যন্ত বাসন্তী হাইওয়ের ১৮ কিলোমিটার অংশ কলকাতা পুলিশের অধীনে। তৈরির পর থেকেই ওই রাস্তা দুর্ঘটনাপ্রবণ। দুর্ঘটনা এড়াতে সেখানে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে লালবাজার। স্পিডোমিটার ও ক্যামেরার পাশাপাশি রাস্তার একটি বিস্তীর্ণ অংশে আলো লাগানো হয়েছে। গাড়ির গতি কমাতে নির্দিষ্ট দূরত্বে স্পিড-ব্রেকার, রাস্তার দু’পাশে ক্র্যাশ ব্যারিয়ার বসেছে। কিন্তু পুলিশকর্মীদের অভিযোগ, দু’লেনের ওই রাস্তায় পথ বিভাজিকা নেই। ফলে দ্রুত গতিতে চলা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ বা ধীর গতির গাড়িতে ধাক্কা মারার আশঙ্কা থেকেই যায়। তবে বাসন্তী হাইওয়েতে গাড়ির বেপরোয়া গতি কমানোই পুলিশের মাথাব্যথা। তাই বিশেষজ্ঞদের সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলে ট্র্যাফিক পুলিশের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy