সচেতনতার প্রচারে প্ল্যাকার্ড হাতে পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র
নজরদারির ফাঁক গলে নির্বিচারে সামুদ্রিক প্রাণী শিকার চলছে বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বন দফতর সূত্রের খবর, আইনের তোয়াক্কা না করে হাঙর, কামট ও শঙ্কর মাছ শিকার করছেন কিছু মৎস্যজীবী। পরে তা পাচার করা হচ্ছে চড়া দামে। এই চোরা কারবার রুখতে এবার তৎপর হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বন দফতর।
সোমবার থেকে এক সপ্তাহ ধরে জেলার বিভিন্ন উপকূল এলাকায় বনকর্মীরা প্রচার অভিযান শুরু করেছেন। বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগরদ্বীপের মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিকদের সচেতন করতে বিভিন্ন ঘাট ও মৎস্য বন্দরগুলিতে প্রচার চালানো হচ্ছে। উপকূল এলাকার বিভিন্ন মৎস্যজীবী সংগঠন এ কাজে সহযোগিতা করছে বন দফতরকে। সচেতনতার প্রচারে যোগ দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দা ও স্কুল পড়ুয়ারাও।
বন দফতর সূত্রের খবর, বন্য আইনে নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্ত্বেও সুন্দবনের বিভিন্ন নদী ও সমুদ্র থেকে নির্বিচারে ছোট বয়সের হাঙর, কামট, শঙ্কর মাছ শিকার করা হচ্ছে। তাদের ডানা-পাখনা কেটে, শুকিয়ে শুঁটকি মাছে পরিণত করে পাচার করা হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। দিন কয়েক আগে বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে বকখালি থেকে ৬৮টি হাঙর মাছের বাচ্চা-সহ চার মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করে। মাছগুলির নমুনা সংগ্রহ করে জ্যুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া কলকাতার সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডিএফও মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, ‘‘কোনও সামুদ্রিক প্রাণী হত্যা বা হাঙর, কামট, শঙ্কর মাছ শিকার করলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই মৎস্যজীবীদের ট্রলার বাজেয়াপ্ত করা হবে। এই ধরনের অপরাধের জন্য সাত বছরের জেল ও জরিমানা দু’টোই হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy