নিহত স্বপন দে।
দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন অশোকনগরের বাসিন্দা, ইঞ্জিনিয়ার স্বপন দে। উত্তপ্রদেশের মোগলসরাইয়ে ওই ঘটনা ঘটে ১৯ মে, শনিবার। আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন মা নন্দরানি (৭৫)। তাঁকে ওই রাতেই ভর্তি করা হয়েছিল অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। ছেলের মৃত্যুসংবাদ দেওয়া হয়নি বৃদ্ধাকে।
পর দিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভর্তি করা হয় বারাসতের একটি নার্সিংহোমে। সেখানেই তাঁকে জানানো হয়েছিল, স্বপন আর নেই। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে বৃদ্ধা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২১ মে সোমবার সকালে ছেলের কফিনবন্দি দেহ অশোকনগরের ৮ নম্বর কালীবাড়ি মোড় এলাকার বাড়িতে এলেও ছেলের মুখ আর দেখা হয়নি নন্দরানির। অসুস্থতার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়নি তাঁকে।
রবিবার রাত আড়াইটে নাগাদ বারাসত জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। হাসপাতাল সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘ওঁর হৃদরোগের সমস্যা ছিল। দিন চারেক আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আইসিসিইউকে রাখতে হয়েছিল।’’
পর পর দু’টি মৃত্যুর ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যেরা। নন্দরানির মেয়ে বাসন্তী দত্ত, সাধনা বণিকরা বলেন, ‘‘মা এতটা অসুস্থ ছিলেন না যে মারা যাবেন। ভাইয়ের মৃত্যুর শোক নিতে পারলেন না। ওই দুষ্কৃতীরা শুধু ভাইকে নয়, আসলে আমাদের মাকেও খুন করল।’’
স্বপন খুনের পরে এত দিন পেরিয়ে গেলেও দুষ্কৃতীরা ধরা না পড়ায় ক্ষুব্ধ তাঁর স্ত্রী নন্দিতা। তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত কোন দিকে এগোচ্ছে, সেখানকার পুলিশ কিছুই জানাচ্ছে না। যতটুকু খবর পাচ্ছি, সংবাদমাধ্যম থেকেই।’’ পাচারের কাজে বাধা দেওয়ায়, ঘুষ না নেওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy