বড়মার চরণে। রবিবার নির্মাল্য প্রামাণিকের তোলা ছবি।
সবাই চায় আশীর্বাদ!
বিধানসভা ভোটের আগে মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ককে সব পক্ষই পাখির চোখ করেছে। বনগাঁ মহকুমায় যে চারটি বিধানসভা আসন রয়েছে (বনগাঁ উত্তর, বনগাঁ দক্ষিণ, গাইঘাটা ও বাগদা) সেখানে মতুয়া ধর্মের মানুষের ভোট সব দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। ভোটে জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে মতুয়া ভোট গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। তাই ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই ডান বাম সব পক্ষের প্রার্থীরাই এখন ছুটছেন ঠাকুরনগরে মতুয়াদের পীঠস্থান ঠাকুরবাড়িতে। লক্ষ্য, সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান উপদেষ্টা বীণাপানি ঠাকুর বা বড়মার আশীর্বাদ-প্রাপ্তি। ইতিমধ্যেই ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে বড়মাকে প্রণাম সেরে এসেছেন গাইঘাটার সিপিআই প্রার্থী কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর, বনগাঁ উত্তর ও দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কেডি বিশ্বাস ও স্বপন মজুমদাররা।
রবিবার ঠাকুরনগরে গিয়ে বড়মার আশীর্বাদ নিলেন তৃণমূলের তিন প্রার্থী। এ দিন সকালে ঠাকুরবাড়িতে যান বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুরজিৎ বিশ্বাস ও গাইঘাটার তৃণমূল প্রার্থী পুলিনবিহারী রায়। তাঁরা বড়মাকে ফল উপহার দেন। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। বড়মা তাঁদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। পরে বড়মার কাছে যান বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বনগাঁর পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য ও বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ। বিশ্বজিৎবাবু বড়মাকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে প্রণাম সারেন। বড়মাকে তাঁকেও আশীর্বাদ করেন। বস্তুত, অশক্ত শরীরেও কাউকে ফেরাননি তিনি।
এ দিন বড়মার সঙ্গে ছিলেন বনগাঁর তৃণমূল সাংসদ তথা সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘‘বিরোধী জোটের কোনও প্রভাব মতুয়াদের মধ্যে পড়বে না। কারণ, মতুয়াদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।’’
সুরজিৎবাবু পরে বলেন, ‘‘বড়মার আশীর্বাদ আমাদের কাছে বিরাট পাথেয়।’’ বিশ্বজিৎবাবুর কথায়, ‘‘যে কোনও ভোটের আগে আমরা বড়মার কাছে এসে তবে কাজ শুরু করি।’’ পুলিনবাবুর বক্তব্য, ‘‘বড়মা আমাকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। আশা করছি মতুয়া ভোট আমরাই পাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy