সমরেশ পাল।
ভাইকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের বাপুজি গ্রামপঞ্চায়েতের নাগেরমহল এলাকায়। মৃতের নাম সমরেশ পাল(৩৬)। অভিযুক্ত অনিমেশ পালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগেরমহলের বাসিন্দা কালীপদ পালের দুই ছেলে। বড় ছেলে অনিমেশ ও ছোট ছেলে সমরেশ। অনিমেশ এলাকায় প্রভাবশালী তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ভাই সমরেশ বিজেপি সমর্থক ছিলেন। আগে দুই ভাই একই বাড়িতে থাকলেও সমরেশ সম্প্রতি ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র ভাড়া থাকছিলেন। সমরেশের স্ত্রীর অভিযোগ, দাদার চাপে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন। তাঁর দাবি, বাড়ি ফিরতেই হঠাৎই দাদার সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে বিবাদ শুরু হয়ে যায় সমরেশের। অভিযোগ, এর পর অনিমেশ কয়েক জনকে ডেকে নিয়ে এসে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে ভাইকে মারধর করেন। গুরুতর জখম হন সমরেশ। তাঁকে উদ্ধার করে কাকদ্বীপ সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। পরে তাঁকে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। টানা ক’দিন আইসিইউ-তে ভর্তি থাকার পর রবিবার মৃত্যু হয় সমরেশের।
পুলিশ মৃতের দাদাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। ক্ষোভ ফুঁসছেন এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। কাকদ্বীপ বিধানসভার বিজেপি-র যুব মোর্চার আহ্বায়ক জয়ন্ত হালদার বলেন, “শুধু বিজেপি করাতেই নিজের ভাইকে পিটিয়ে মারল দাদা৷ এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।” অন্য দিকে, কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা পাল্টা বলেন, “পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। আইন আইনের পথে চলবে। দোষ করলে শাস্তি পেতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy