Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪

জ্বর-ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে ভাঙড়ের গ্রামেও

শানপুকুর পঞ্চায়েতের চণ্ডীহাট এলাকায় ১৭ জনের রক্তে ডেঙ্গি পাওয়া গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।

ভাঙরে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি, প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল

ভাঙরে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি, প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল

নিজস্ব সংবাদদাতা 
ভাঙড় শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:২২
Share: Save:

জ্বর, সর্দি, কাশি, গায়ে ব্যথা, বমি বমি ভাব-সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে রোগীদের। ভাঙড় ২ ব্লকের জিরানগাছা ব্লক হাসপাতাল উপচে পড়ছে ভিড়ে। ব্লক এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে ঘরে ঘরে বাড়ছে জ্বরের প্রকোপ। রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে অনেকের এনএস-১ ধরা পড়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।

শানপুকুর পঞ্চায়েতের চণ্ডীহাট এলাকায় ১৭ জনের রক্তে ডেঙ্গি পাওয়া গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। পাশের চড়কপোতা গ্রামে চার জনের রক্তে ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই জিরানগাছা, বেলেঘাটা আইডি কিংবা আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মানুষের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই চণ্ডীহাট, ভুমরু, চকমরিচা, কাশীপুর, কাঁটাডাঙা, শানপুকুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় জ্বর ছড়িয়েছে। প্রশাসনের উদাসীনতায় সাফাই অভিযান ঠিকমতো হচ্ছে না। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় জমা জল, ময়লা আবর্জনায় মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে।

কাশীপুর গ্রামের সুপর্ণা ভট্টাচার্য গত কয়েক দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। অ্যালাইজা পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। প্লেটলেট ৭০ হাজারের কাছাকাছি। ওই গ্রামেরই পূর্ণিমা ঘোষ, পালানি মণ্ডলকে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা অদিতি মণ্ডল বলেন, ‘‘গ্রামে প্রচণ্ড মশার উৎপাত। যে ভাবে জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে এবং ডেঙ্গি ধরা পড়ছে, তাতে আমরা আতঙ্কিত।’’ এলাকায় ঠিকমতো সাফাই অভিযান হচ্ছে না বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শ্রেয়া সরকার নামে স্থানীয় এক মহিলা বলেন, ‘‘সম্প্রতি লাউহাটি-ঘটকপুকুর রোড সম্প্রসারণ হওয়ার ফলে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টিতে জল ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ছে। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘জঞ্জাল সাফাই অভিযান ঠিকমতো হচ্ছে না।’’ এ বিষয়ে ভাঙড় ২ বিডিও কৌশিককুমার মাইতি অবশ্য বলেন, ‘‘জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু আমাদের কর্মীরা এলাকায় বাড়ি গিয়ে সাফাই অভিযান করছেন। যে সব জায়গায় মশার লার্ভা রয়েছে, সেই সব জায়গা চিহ্নিত করে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। অন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে ফগিং মেশিন দিয়ে ধোঁয়া ছড়ানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আমরা পুরো বিষয়ে নজর রেখেছি।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে মারা যাওয়ার খবর নেই।

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue Bhangar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy