Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪
india

ঘোজাডাঙা সীমান্তে চালু হল বাণিজ্য

মহকুমা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের শুরুতে বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় প্রায় তিন মাস সীমান্তে আটকে পড়ে উভয় দেশের হাজার দেড়েক ট্রাক।

করোনাবিধির জন্য হাতে হাত মেলানো যাবে না। তাই দূরত্ব বজায় রেখেই সৌজন্য বিনিময় করছেন দু’দেশের লোকজন। ঘোজাডাঙা সীমান্তে। ছবি: নির্মল বসু

করোনাবিধির জন্য হাতে হাত মেলানো যাবে না। তাই দূরত্ব বজায় রেখেই সৌজন্য বিনিময় করছেন দু’দেশের লোকজন। ঘোজাডাঙা সীমান্তে। ছবি: নির্মল বসু

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বসিরহাট শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২০ ০০:১৬
Share: Save:

অবশেষে কাটল জট। ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে শুরু হল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বাণিজ্য।
লকডাউনের জেরে ৮৭ দিন বন্ধ থাকার পরে শনিবার চালকদের পিপিই কিট পরিয়ে সীমান্ত বাণিজ্যের ট্রাক ঘোজাডাঙা এবং ভোমরার মধ্যে চলাচল শুরু হল। ফিতে কেটে যার সূচনা করেন বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যের ট্রাক চলাচলের জন্য ঘোজাডাঙা বিএসএফের ১৫৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা গেট খুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন সীমান্তের শুল্ক দফতরের আধিকারিক প্রশান্ত গিরি, ঘোজাডাঙা ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং কার্গো ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কান্তি দত্ত, গোলাম মোস্তাফা এবং বাংলাদেশ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মোস্তাফা নাসিম সহ দু’দেশের আধিকারিকেরা। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পরে স্থলবন্দরে বাণিজ্য শুরু হতেই দু’দেশের তরফে হাজির সকলে হাততালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

মোস্তাফা নাসিম বলেন, ‘‘আমাদের বেশ কয়েক হাজার মানুষের জীবিকা সীমান্ত বাণিজ্যের উপরে নির্ভর করে। বাণিজ্য শুরু হওয়ায় আমরা খুশি।’’

মহকুমা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের শুরুতে বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় প্রায় তিন মাস সীমান্তে আটকে পড়ে উভয় দেশের হাজার দেড়েক ট্রাক। কয়েকশো চালক-খালাসি আটকে পড়েন। কর্মহীন হয়ে পড়েন পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজে যুক্ত বহু শ্রমিক। বহু টাকার ক্ষতির মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা। সরকারি রাজস্বেরও ক্ষতি হচ্ছিল।

সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে বাণিজ্য শুরু হলেও ঘোজাডাঙা বন্ধ থাকায় ক্ষোভ জানাতে থাকেন ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্ট সব দফতরে জানিয়েও কোনও কাজ না হওয়ায় বিক্ষোভ সভা হয়।

এ দিন দীপেন্দু বলেন, ‘‘বাণিজ্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে লক্ষাধিক মানুষ যুক্ত। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। ঘোজাডাঙায় থাকা বহু দোকানিও সমস্যায় পড়েছিলেন। সে দিকে লক্ষ্য রেখে স্থলবন্দর খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ কান্তি দত্ত, গোলাম মোস্তাফা বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমদানি ও রফতানি করা হচ্ছে।’’

বাংলাদেশের ঢাকার বাসিন্দা শেখ আকবর বলেন,‘‘ তিন মাস পরে বাড়ি ফিরতে চলেছি বলে খুব আনন্দ হচ্ছে।’’ দিল্লি থেকে আসা ট্রাক চালক তরুণ ঠাকুরের কথায়, ‘‘এত দিন সীমান্তের ও পারে ছিলাম। এ বার ঘরে ফিরে পরিবারের লোকজনকে দেখতে পাব।’’

অন্য বিষয়গুলি:

India Bangladesh Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy