Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

করোনা আক্রান্তদের পাশে সাংস্কৃতিক কর্মীরা

এগিয়ে এসেছেন গাইঘাটার পাঁচপোতা শতদল রবিবাসর সাংস্কৃতিক সংস্থার সদস্যেরা। খবর পেলেই তাঁরা করোনা রোগী বা তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। ওষুধ, পানীয়জল খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে।   

গ্রামে গিয়ে এ ভাবেই বোঝাচ্ছে দলটি। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

গ্রামে গিয়ে এ ভাবেই বোঝাচ্ছে দলটি। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

সীমান্ত  মৈত্র
গাইঘাটা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২০ ০০:০৯
Share: Save:

করোনা আক্রান্ত পরিবারের উপরে আশপাশের লোকজন সামাজিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের ওষুধ, পানীয়জল, খাদ্যসামগ্রী পেতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল। ওই সব সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছেন গাইঘাটার পাঁচপোতা শতদল রবিবাসর সাংস্কৃতিক সংস্থার সদস্যেরা। খবর পেলেই তাঁরা করোনা রোগী বা তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। ওষুধ, পানীয়জল খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে।

গাইঘাটার বিএমওএইচ সুজন গায়েন বলেন, ‘‘শতদল রবিবাসর সাংস্কৃতিক সংস্থার কর্মীরা মাস্ক, গ্লাভস, হেডক্যাপ, ফেসসিট পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছেন। স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন। এক্ষেত্রে পিপিই কিট না পড়লেও সমস্যা নেই। সর্দি কাশি থাকা রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ওঁরা সতর্কতা অবলম্বন করছেন। করোনা আক্রান্ত রোগীদের আমরা অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করি।’’

ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেধে সংস্থার সদস্যেরা কাজ করছেন। সংস্থার সদস্য শক্তিপদ বিশ্বাস, শুভদীপ মণ্ডল, সন্তু রায় করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। গ্রামের মানুষের মধ্যে থেকে করোনা সম্পর্কে ভীতি দূর করতে শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে ব্লক স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের কর্তারা হাজির হয়ে মানুষকে সচেতন করছেন। গাইঘাটার বিএমওএইচ সুজন বলেন, ‘‘ওই সংস্থার সদস্যেরা খুব ভাল কাজ করছেন। করোনা আক্রান্তের পরিবারের লোকজনকে এখন আর কোনও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না। ওই সংস্থার সদস্যেরাই সব কাজ করে দিচ্ছেন। আগে স্বাস্থ্যকর্মী, পঞ্চায়েত সদস্য বা আক্রান্তের আত্মীয়ের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী পাঠানোর কাজ করা হত।’’

করোনা আবহে এখন সর্দিকাশি, জ্বরের মতো উপসর্গ থাকলে মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এক ব্যক্তির জ্বর, সর্দি-কাশি হওয়ায় আশপাশের লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি। খবর পেয়ে শতদলের সদস্যেরা এসে বাইকে করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। করোনা পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি এলাকায় ২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পঞ্চায়েতের কর্মীরা এলাকা জীবাণুমুক্ত করতে গেলে বাসিন্দারা বাধা দেন। তাঁদের ফিরে আসতে হয়। খবর পেয়ে ওই সাংস্কৃতিক সংস্থার কর্মীরা গ্রামে গিয়ে মানুষকে বুঝিয়ে রাজি করিয়ে দমকলকে দিয়ে এলাকা জীবাণুমুক্ত করানোর ব্যবস্থা করেন।

সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, শুধু করোনা পজ়িটিভ রোগী নন, এই পরিস্থিতিতে সাধারণ রোগীর পাশেও আছেন তাঁরা।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal COVID Patient
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE