না ফাটা গ্রেনেড দু’টি ‘কুড়িয়ে পেয়ে’ নিয়ে আসে ওই স্কুলছাত্রেরা। —প্রতীকী চিত্র।
দুষ্কৃতীদের রাখা বোমাকে বল ভেবে নয়, পুলিশের প্রশিক্ষণ শিবিরের পরে মাঠে পড়েছিল এক বিশেষ ধরনের দু’টি গ্রেনেড। তা নিয়ে ‘খেলা করতে গিয়ে’ আগুনে ঝলসে আহত হল দুই নাবালক। শুক্রবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার বড়পোল এলাকায় ওই ঘটনার পরে, পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগে সরব হয়েছেন আহতদের বাড়ির লোক, এলাকাবাসী। বসিরহাট পুলিশ-জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান মানছেন, ‘‘ওগুলি ভুলবশত ঘটনাস্থলে রেখে আসা হয়েছিল।’’ তাঁর সংযোজন: ‘‘আমরা তদন্ত শুরু করেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’’ জখম ছেলে দু’টি আশঙ্কাজনক অবস্থায় বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার আড়বেলিয়া বাজারের কাছে ওই এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার মাঠে পুলিশের প্রশিক্ষণ শিবির ছিল। শিবির শেষে না ফাটা গ্রেনেড দু’টি ‘কুড়িয়ে পেয়ে’ নিয়ে আসে ওই স্কুলছাত্রেরা। এক জনের বয়স ১৫, অন্য জনের ১২। বাড়ির কাছে একটি দোকানের পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে ছুড়ে সেগুলি ফাটানোর চেষ্টা করে তারা। একটি ফাটেনি। অন্যটির একাংশ থেকে বারুদ বেরিয়ে পড়ে। সে বারুদে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। আগুন ছিটকে মুখে, হাতে-পায়ে চোট লাগে তাদের। অন্য গ্রেনেডটি গ্রামবাসীরা জলাশয়ে ফেলে দেন।
পুলিশ সুপারের দাবি, গ্রেনেডগুলি ‘ডাই মার্কার’ গোত্রের। পুলিশ সূত্র জানাচ্ছে, মূলত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এগুলি ব্যবহার হয়। আলোর ঝলকানির সঙ্গে রাসায়নিক রং ছড়িয়ে পড়ে এই গ্রেনেড ফাটলে। সেই রং শরীরে বা পোশাকে লেগে গেলে, সে দাগ দেখে পরে জটলায় হাজির লোকেদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। প্রায় ৪০
মিটার পর্যন্ত ছড়ায় সে রং। গ্রেনেড ফাটার সময়ে আলোর ঝলকানিতে ভিড়ের মধ্যে লোকজন কিছুক্ষণ চোখে দেখতে পান না।
সূত্রের দাবি, প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত গ্রেনেড সাধারণত মেয়াদ-উত্তীর্ণ হয়। প্রশিক্ষণের সময়ে কোনওটি ফাটে, কোনওটি ফাটে না। সে রকম না ফাটা গ্রেনেডই ওই নাবালকেরা পেয়েছিল। যদিও না ফাটা গ্রেনেডও পুলিশ ছাড়া অন্য কারও হাতে যাওয়ার কথা নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy