কোভিড সতর্কতা প্রচার দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রশাসনের। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় সোমবার থেকে রাজ্যে আংশিক লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। একই কারণে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের তরফে কোভিড বিধিনিষেধ এবং নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে হোটেল এবং লজগুলিতে। যে সব পর্যটকরা আগে হোটেল বুকিং করেছিলেন তাঁরা পর্যটন কেন্দ্রে চলে এলেও নতুন করে হোটেল বুকিং বন্ধ করার কথা জানানো হয়েছে।
যেখানে তুলনামূলক বেশি পর্যটকের আগমন ঘটে সেই সব পর্যটন কেন্দ্রে সোমবার সকাল থেকে মাইকিং করে সতর্কতা মূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা হাতে পাওয়ার পরই সোমবার সেগুলি স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে হোটেলগুলিতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলি থেকে পর্যটকদের সরানো শুরু হবে।’’
শীতের শুরু থেকেই সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে থেকে পর্যটকদের ঢল নামে। কয়েক মাস আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য বেশ কয়েকটি ইকো ক্যাম্প এবং প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। শীতের কথা মাথায় রেখে দ্রুত সেগুলি মেরামত হয়। মাস খানেক আগে থেকে পর্যটকদের জন্য সেই কেন্দ্রগুলি চালুও করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নতুন সরকারি নির্দেশিকা আসার পর বাধ্য হয়েই বন্ধ করা হচ্ছে সেগুলি।
যাঁরা সুন্দরবনে বেড়াতে আসেন তাঁদের মূল আকর্ষণ সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধীন সজনেখালি, সুধন্যখালি এবং পাখিরালয়। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বন বিভাগের আওতাধীন ভগবতপুর কুমির প্রকল্প, বনি ক্যাম্প, কলস ক্যাম্প, ঝড়খালিও পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এর মধ্যে অনেকগুলি জায়গাতেই রাত্রিবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সব পর্যটন কেন্দ্রগুলিই আপতত বন্ধ রাখা হবে।
এ বিষয়ে জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মণ্ডল বলেন, ‘‘বন দফতরের আওতায় যে পর্যটনস্থল রয়েছে, সেগুলি পর্যটকদের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। যাঁরা সেখানে রয়েছেন তাঁদেরকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা চলছে।’’ টানা কয়েক মাস ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন সুন্দরবনের হোটেল মালিকরা। নতুন বছরেই সর্বাধিক পর্যটক আসেন সুন্দরবনে। অথচ সেই মরসুমেই বন্ধ থাকছে ঝড়খালি, পাখিরালয়, বালি, দয়াপুরের হোটেলগুলি।
অন্য দিকে, সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ এবং মৌসুনি দ্বীপেও পর্যটকদের আগাম বুকিং বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন করে আর কোন বুকিং করা যাবে না। আগাম নিষেধাজ্ঞা না থাকায় সোমবার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভিড় ছিল। সোমবার নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর-সহ ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা মাইকিং করে প্রচার চালান বকখালির সমুদ্র সৈকতে। বকখালি হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিদ্যুৎ দিন্দা বলেছেন, ‘‘সারা বছরের মধ্যে শীতেই ব্যবসা ভালো হয়। অথচ এখনই হোটেল বন্ধের নোটিস এসেছে। ফের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চললাম। তবে কোভিড পরিস্থিতির কারণে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy