Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪
COVID-19

এ বার কোভিড-যুদ্ধে গতি শিল্পাঞ্চলে

শুক্রবারই নৈহাটি পুরসভা তাদের সেফ হোম চালু করেছে। প্রথম দিনেই সেখানে ২৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২১ ০৬:৩৩
Share: Save:

অষ্টম দফার ভোট শেষ হতেই শুক্রবার থেকে কোভিড মোকাবিলার কাজে যেন গতি এল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। তবে আগামী ২ মে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পরে নতুন সরকার তৈরি না হওয়া পর্যন্ত পুর পরিষেবার কাজ কী ভাবে হবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছেই পুরসভাগুলিতে।

শুক্রবারই নৈহাটি পুরসভা তাদের সেফ হোম চালু করেছে। প্রথম দিনেই সেখানে ২৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে চালু হয়েছে ওই সেফ হোম। পুর প্রশাসক অশোক চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁরা শয্যা বাড়িয়ে ১৭৫ পর্যন্ত করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন। আপাতত পুর এলাকার রোগীদেরই সেখানে রাখা হবে। তাঁর কথায়, “গত বছর মুর্শিদাবাদ, রানাঘাটের মতো এলাকা থেকে আসা রোগীদেরও এখানে রাখার ব্যবস্থা হয়েছিল। নতুন সরকারের দিকে তাকিয়ে আছি। যদি সেই সরকার নির্দেশ দেয়, তবে নৈহাটির বাইরের রোগীদেরও জায়গা দেওয়া হবে।” যদিও নতুন সেফ হোমেও অক্সিজেনের আকাল রয়েছে বলেই দাবি অশোকবাবুর।

গত বছর সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সংক্রমিতদের চিকিৎসায় নৈহাটির এই স্টেডিয়ামে সেফ হোমটি চালু করেছিল পুরসভা। চলতি বছরের শুরুতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় সেটি বন্ধ করা হয়।

এ দিনই নৈহাটি পুরসভার উদ্যোগে রামঘাট শ্মশানে একটি নতুন বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু করা হচ্ছে। পুর প্রশাসক জানান, ওই শ্মশানে মোট দু’টি চুল্লি হল। নতুন চুল্লিতে সাধারণ দেহ সৎকার হবে, পুরনোয় কোভিড দেহ সৎকার হবে।

উল্লেখ্য, আট দফার নির্বাচনের জেরে রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো দীর্ঘদিন ধরেই ব্যারাকপুর, উত্তর ব্যারাকপুর, নৈহাটি, গাড়ুলিয়া, জগদ্দল, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া পুরসভা কোভিড মোকাবিলার কাজে সক্রিয় ছিল না। স্থানীয় থানাগুলি নিজ নিজ এলাকায় খানিকটা সেই কাজে করে পরিস্থিতি সামলেছিল।

ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ বলেন, “পুলিশের তরফে এলাকায় মাস্ক পরা, দূরত্ব-বিধি মেনে চলা, জমায়েত না করা-সহ নানা বিষয় নিয়ে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। কেউ সমস্যা নিয়ে থানায় ফোন করলেই পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে।”

লোকসভা নির্বাচনের পরে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে রাজনৈতিক সমীকরণ খানিকটা বদলে গিয়েছে। করোনার মোকাবিলায় কোনও নির্দেশ মানার জন্য কাউকে বাধ্য করতে দ্বিধায় রয়েছে পুরসভাগুলি। তাই পুর কর্তৃপক্ষেরা চেয়ে রয়েছেন রাজ্যের সরকার গঠনের দিকে। প্রসঙ্গত, এ দিন থেকেই রাজ্য সরকার সর্বত্র বাজার খোলা রাখার সময়সীমা অনির্দিষ্টকালের জন্য বেঁধে দিয়েছে।

কাঁচরাপাড়া পুরসভার পুর প্রশাসক সুদামা রাও বলছেন, “করোনার মোকাবিলা কী ভাবে সম্ভব, তা নিয়ে এলাকায় প্রচার চলছে। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরে পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে বৈঠক করে কর্মসূচি ঠিক করা হবে।” সরকারি নির্দেশিকার প্রতীক্ষায় উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষও। তিনি বলেন, “পুরসভাগুলি কী ভাবে কাজ করবে, সে জন্য সরকারি নির্দেশিকার প্রয়োজন। না হলে এক-এক জন এক-এক ভাবে কাজ করলে সমাধান হবে না।”

অন্য বিষয়গুলি:

COVID-19 coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy