প্রতীকী ছবি।
মৃত্যু হল করোনায় আক্রান্ত দেগঙ্গার কিসান কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মহিদুল ইসালম বৈদ্যর (৩৭)। সোমবার ব্যারাকপুর কোভিড হাসপাতালে মারা যান তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ দিন আগে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করাতে গিয়েছিলেন মহিদুল। স্ত্রীর দেখাশোনার জন্য সেখানে তিন দিন থাকতে হয়। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে জ্বর, মুখে অরুচি দেখা দেওয়ায় স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন।
সেখানে প্রাথমিক ভাবে করোনা নেগেটিভ আসলেও, শারীরিক অসুস্থতা থাকায় আরও কয়েক দিন রেখে দেওয়া হয় মহিদুলকে। শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় ফের করোনা পরীক্ষা হয়। তাতে পজ়িটিভ মেলে। সেখান থেকে তাঁকে ব্যারাকপুর নিয়ে গেলে সেখানেই মহিদুলের মৃত্যু হয়।
মহিদুলের ভাই সহিদুলের অভিযোগ, “জেলা জুড়ে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়নি। দাদার অবস্থার অবনতি ঘটার পর চিকিৎসক তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু বারাসত কোভিড হাসপাতালে শয্যা মেলেনি। ছিল না অ্যাম্বুল্যান্স। যখন অ্যাম্বুল্যান্স মিলল, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।” স্বামীর মৃত্যুতে চার কন্যা সন্তানকে নিয়ে অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়লেন মহিদুলের স্ত্রী আজুমা বিবি।
এ দিন মৃতের বাড়িতে যান জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অমিত মজুমদার। তাঁর কথায়, “তিন দিন আগে বসিরহাটের চাঁপাপুকুর এলাকার বাসিন্দা তৃণমূলের এক নেতা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ দিন মারা গেলেন মহিদুল। তরুণ নেতাকে হারিয়ে দলের ক্ষতি হল। কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।” স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এ দিন দেগঙ্গার এক ব্যবসায়ীরও মৃত্যু হয়েছে করোনায়। বেলেঘাটার এক বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বেড়াচাঁপা বাজারের ওই ব্যবসায়ীর।
উত্তর ২৪ পরগনা জুড়ে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তবে তারপরেও মানুষের সচেতনতার অভাব নিয়ে চিন্তিত জেলা স্বাস্থ্যকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy