বাম সমর্থকদের প্রতিবাদ মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
ফের স্থগিত হল বাগদার আমডোব সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন।
রবিবার ওই সমতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ না যাওয়ায় সেই নির্বাচন স্থগিত করে দিয়েছেন জেলার ডিআরসিএস অনুজকুমার সরকার।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং লেগেছে। নির্বাচনে পুলিশ না আসায় বামেরা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে। এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সমবায়টি আষাঢ়ু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত। ওই পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা সিপিএমের গণেশ ঘোষের দাবি, ‘‘তৃণমূল এখানে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে পুলিশকে ব্যবহার করেছে যাতে ভোট বানচাল হয়।’’
বাগদা ব্লকের বড় সমবায় হল এটি। ভোটার সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি। আসন সংখ্যা ৬০। এ দিন সকাল ১১টা ভোট শুরু হওয়ার কথা ছিল। আসতে শুরু করেছিলেন ভোটাররা। পুলিশ কর্মীরা আসবেন বলে তাদের জন্য রান্নাবান্নাও করা হয়েছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। কিন্তু পুলিশ না যাওয়ার ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বামেদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রতিবাদ মিছিলও করা হয়।
২০১৪ সালের পর আর সমবায়ে নির্বাচন হয়নি। তার আগে ক্ষমতায় ছিল বামেরা। দীর্ঘদিন ভোট না হওয়ায় সেখানে প্রশাসক বসিয়ে কাজকর্ম চলছিল। সমবায়ের আগের পরিচালন সমিতির সম্পাদক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘এ বার নিয়ে চার বার ভোট স্থগিত হল। চারবার পুলিশ কথা দিয়েও আসেনি।’’ তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বাগদা ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি হিবজুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই ভোট বেআইনি। সমবায়টি দুর্নীতিতে ডুবে আছে। বামেরা নিজের মতো সদস্য তৈরি করে রেখেছে। তাই আমরা ভোটে যোগ দিইনি।’’
এ প্রসঙ্গে অনুজবাবু বলেন, ‘‘ভোটের জন্য পুলিশ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ না আসায় নিরাপত্তার কারণে ভোট বাতিল করতে হয়েছে। জেলা শাসকের সঙ্গে কথা বলে ফের ভোটের দিন ঘোষণা করা হবে।’’ তবে কী কারণে পুলিশ এ দিন দেওয়া যায়নি তার সঠিক ব্যাখা পাওয়া যায়নি। বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় বলেন, ‘‘পুলিশ যে এ দিন দেওয়া যাবে না তা আগেই জানানো হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy