প্রতীকী ছবি।
সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের ইংরেজির শিক্ষিকা অরুন্ধতি মজুমদার বদলি হয়েছেন গত বছর ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু ওই শূন্যপদে নতুন শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন এখনও মেলেনি। জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে বিষয়টি স্কুল থেকে জানানো হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু স্কুলের শূন্যপদ নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া (পিপি) এখনও শেষ হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
শুধু ওই স্কুলই নয়, মহকুমার অনেকগুলি স্কুল থেকে একই রকম অভিযোগ উঠছে। এক সূত্রের খবর, জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে সামান্য ফাইল নড়তেই লাগছে ছ’মাস। তার জেরে স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগে দেরি হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের নেতারাও। সংগঠনের রাজ্য নেতা তথা জেলা শিক্ষা সেলের পদাধিকারী শিক্ষক অজিত নায়েক বলেন, ‘‘সম্প্রতি জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর ঘিরে নানা অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি বদলানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’ জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বাদল পাত্র জানান, কাজ দেরিতে করার অভিযোগ ঠিক নয়। করণিকেরা ঠিক সময়েই কাজ করছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সেপ্টেম্বরের শুরুতেই মহকুমা ধরে শূন্যপদ নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কাগজ স্কুলগুলিকে দেওয়া হবে।’’ কেবল স্থায়ী পদের ক্ষেত্রে নয়, কোনও শিক্ষক লম্বা ছুটিতে গেলে বা বিএড পড়তে গেলে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করার ব্যাপারেও জেলা স্কুল পরিদর্শকের অনুমোদন নিতে হয়। সেই ফাইলও দীর্ঘ দিন পড়ে থাকছে বলে জানা গিয়েছে। বড় বড় স্কুলগুলিতে সময়ে শিক্ষক না পাওয়ার জন্য ক্ষতি হচ্ছে পড়াশোনার।
কাকদ্বীপের বড় স্কুল সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক শ্যামসুন্দর জানা বলেন, ‘‘কাজের জন্য জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে প্রচুর ঘুরতে হচ্ছে। অনলাইনে আবেদন এবং অনুমোদনের ব্যবস্থা করা হলে ভাল।’’ কাকদ্বীপের অন্য একটি হাইস্কুল বীরেন্দ্র বিদ্যা নিকেতনেরও এই একই সমস্যা। ২০১২ সালের পর থেকে শিক্ষকের প্রায় ৯টি পদ শূন্য। বার বার নানা রকম কারণ দেখিয়ে শিক্ষকদের ফেরত পাঠাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের করণিকেরা। একই সমস্যা সাগর, পাথরপ্রতিমা এবং নামখানার বিভিন্ন স্কুলে রয়ে গিয়েছে।
স্কুলে কোনও পদ শূন্য হলে তা জেলা স্কুল পরিদর্শকের অনুমোদনের মাধ্যমে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নজরে আনতে হয়। জেলা স্কুল পরিদর্শক দফতর সূত্রের খবর, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত যে সমস্ত স্কুলের শূন্যপদ নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া অনুমোদন মিলেছে, আগামী সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সেই সব স্কুলই কেবলমাত্র শিক্ষক পেতে পারে। কোন কোন স্কুল তা পেয়েছে, তা সেপ্টেম্বরের আগে বোঝার উপায় নেই। কারণ সেপ্টেম্বরে জেলার সমস্ত স্কুলগুলিকে পিপি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy