অসহায়: মর্গের সামনে বসে রয়েছেন বৃদ্ধ। ছবি: দিলীপ নস্কর
শরীর থেকে কটূ গন্ধ বের হওয়ায় রোগীকে মর্গের সামনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মথুরাপুর ২ ব্লকের রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে। হাঁটা-চলার ক্ষমতা না থাকায় প্রায় চার দিন ধরে মর্গের সামনেই পড়ে রয়েছেন ওই বৃদ্ধ। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে দিনের বেলা খাবার এনে দিচ্ছেন।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি রায়দিঘির কুমড়ো পাড়ার মোড়ের কাছে গাড়ির ধাক্কায় আহত হন ওই বৃদ্ধ। সেই গাড়ির চালকই তাঁকে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে যান। কিন্তু তার পর থেকে কেউ ওই বৃদ্ধকে দেখতে আসেননি। পায়ে চোট থাকায় তিনি হামাগুড়ি দিয়ে শৌচাগারে যেতেন। ফলে তাঁর পোশাক নোংরা হয়ে রয়েছে। অভিযোগ, চার দিন আগে ওই হাসপাতালের কয়েক জন কর্মী ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালের মর্গের পিছনে জঞ্জাল ঘেরা জায়গায় ছুড়ে ফেলে দেয়। সেখানেই তাঁর দিন-রাত কাটছে।
হাসপাতালের পাশে শ্রীফলতলা গ্রাম। সেই গ্রামের কয়েক জন বাসিন্দা তাঁকে দিনের বেলা খাবার এনে দিচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা সনাতন সর্দার, ফাল্গুনী ঘোড়ুইরা বলেন, ‘‘ওই রোগীকে সকাল ও দুপুরে খাবার দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রাতের বেলা ওখানে যাওয়ার পরিস্থিতি নেই। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বার বার জানালেও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মূখ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের বলেন, ‘‘এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ ঠিক নয়। ওই রোগী হাসপাতালে নিজেই হাসপাতাল থেকে বার বার বেরিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন। বিএমওএইচকে বিষয়টি দেখতে বলেছি।’’
মথুরাপুর ২ বিএমওএইচ প্রণবেশ হালদারের সঙ্গে ফোনে কোনও ভাবে যোগযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy