Advertisement
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
Money Embezzlement

কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ

অভিযোগকারীদের দাবি, গৌতম তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে এলাকায় 'ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প' নামে একটি সংস্থা খুলে বাসিন্দাদের কাছ থেকে টাকা তুলতেন।

সংস্থার নথি হাতে অভিযোগকারীরা।

সংস্থার নথি হাতে অভিযোগকারীরা। ছবি: সুজিত দুয়ারি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাবড়া শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৩০
Share: Save:

সংস্থা খুলে প্রায় ১৩ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা তুলে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাবা ও দুই ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি হাবড়ার এজি কলোনি এলাকার। রবিবার অশোকনগর ও হাবড়া এলাকার বেশ কিছু গ্রাহক হাজির হন হাবড়া থানায়। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত হিসাবে সেখানে নাম আছে গৌতম মণ্ডল ও তাঁর দুই ছেলে গৌরব-চন্দনের। গ্রাহকদের দাবি, প্রায় ৩০ কোটি টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে অভিযুক্তেরা। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অভিযোগকারীদের দাবি, গৌতম তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে এলাকায় 'ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প' নামে একটি সংস্থা খুলে বাসিন্দাদের কাছ থেকে টাকা তুলতেন। ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরের থেকে বেশি টাকার সুদ দেওয়ার কথা বলা হয়। গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা সংগ্রহ করে আনত সংস্থার লোকজন। ৩৬৫ দিন টাকা জমানো হলে পরের মাসে সুদ সহ সেই টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি গ্রাহকদের। প্রথম কয়েক বছর সুদ সহ টাকা ফেরতও পেয়েছিলেন অনেকে। বর্তমানে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ টাকা জমান ওই সংস্থায়। হাবড়ার পাশাপাশি অশোকনগরেও ছড়িয়ে পড়ে সংস্থার কাজকর্ম।

২৮ নভেম্বর জানাজানি হয়, গৌতমেরা সপরিবার বাড়িতে তালা লাগিয়ে উধাও। সকলের ফোন বন্ধ। রবিবার থানায় লিখিত অভিযোগ হয়। সুরজিৎ পাল নামে এক যুবক জানান,অশোকনগর রেলগেটের কাছে তাঁর ভাতের হোটেল। প্রতি দিন গৌতমদের কাছে ৫০০ টাকা করে জমাতেন। প্রায় ২ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন। অশোকনগর স্টেশনে চপের দোকান চালান জগদীশ বিশ্বাস। প্রতি দিন তিনিও ৫০০ টাকা করে জমাতেন। ডিসেম্বর মাসে তাঁকে সুদ সহ এক বছরের পুরো টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। তন্দ্রা চৌধুরী জানান, প্রতি দিন আড়াইশো টাকা করে জমা করতেন। টাকা এক সঙ্গে পেলে রান্নাঘর সারাই করা, পানীয় জলের কল বসানোর কথা ভেবে রেখেছিলেন।
কিন্তু রোজভ্যালি, সারদার মতো এত বড় বড় কাণ্ড যেখানে ঘটে গিয়েছে এ রাজ্যে, সেখানে রোজগারের টাকা ব্যাঙ্কে না রেখে এ ভাবে ভুইঁফোড় সংস্থার কাছে রাখতেন কেন?

প্রতারিতেরা অনেকেই জানান, প্রতি দিন ডাকঘর বা ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা রাখা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। এখানে সুদও বেশি দেওয়ার কথা বলা হত। সংস্থার অনেকে পূর্ব পরিচিত। এ সব কারণেই তাঁরা ভরসা করেছিলেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Habra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy