—প্রতীকী চিত্র।
ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া স্কুল ফি এবং মিড-ডে মিলের টাকা আত্মসাৎ এবং এক শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল মছলন্দপুরের রাজবল্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিকান্দার রবিদাসের বিরুদ্ধে। অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা স্কুলের সভাপতি হীরালাল মজুমদারের কাছে লিখিত ভাবে ওই অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ মানেননি প্রধান শিক্ষক। তাঁর দাবি, ‘‘আমি স্কুলে আসার পর অনেকেরই স্বার্থে আঘাত লেগেছে। অনেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সে কারণে মিথ্যা চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’
২০২১ সালের অক্টোবরে প্রধান শিক্ষক হিসেবে ওই স্কুলে যোগ দেন সিকান্দার। অভিযোগ, তার পর থেকেই তিনি ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ফি এবং মিড-ডে মিলের টাকা আত্মসাৎ করা শুরু করেন। পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ মিড-ডে মিল দিনের পর দিন না খাইয়ে বা নিম্নমানের খাবার খাইয়ে বা ভুয়ো বিল তৈরি করে, সই জাল করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। তাঁকে কুপ্রস্তাব দেওয়া ও যৌন হেনস্থা করা হয়েছে বলেও এক শিক্ষিকা পরিচালন সমিতির কাছে অভিযোগ জানান।
স্কুলের সভাপতি বলেন, ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ আমরা শিক্ষা দফতরকে জানিয়েছি। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত উন্নয়ন তহবিলের জন্য যে সাত-আট লক্ষ টাকা সংগৃহীত হয় তার প্রকৃত হিসেব দেখতে চেয়েছি।’’ একইসঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘উন্নয়ন তহবিলের ও মিড-ডে মিলের হিসেব স্পষ্ট নয়। প্রতি মাসে পুষ্টির জন্য যে খাবার দেওয়া হয় তাতেও একটি অ্যাকাউন্টে আড়াই লক্ষ টাকা গরমিল দেখা গিয়েছে। শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন স্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত শুরু করেছে। সম্প্রতি কিছু তদন্তে গরমিলের অভিযোগ প্রমাণিতও হয়েছে।’’
প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘২০ লক্ষ টাকা একটা বড় অঙ্ক। জানি না এক বছরের মধ্যে এই বিপুল টাকা আমি কী ভাবে আত্মসাৎ করলাম। বোঝাই যাচ্ছে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।’’ যৌন হেনস্থার অভিযোগও সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে তাঁর দাবি।
এই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগকে ঘিরে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে স্কুলের অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এর জেরে পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন অভিভাবকেরা। তাঁদের নিয়ে সোমবার স্কুল কর্তৃপক্ষ বৈঠক করেন। পঠনপাঠন সুষ্ঠু ভাবে চালানোর আশ্বাস দেওয়া হয় বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy