ভাঙা পড়েছে একাধিক দোকান, বাড়ি। নিজস্ব চিত্র
রাস্তা সম্প্রসারণের নামে জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না দিয়েই অধিগ্রহণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যে লিখিত অভিযোগ করেছেন বাসন্তীর দক্ষিণ বটতলা মৌজার বহু জমির মালিক।
বাসন্তী রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণের জন্য তাঁদের সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই বহু মানুষের বাড়ি, দোকান ভাঙা পড়েছে। পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরব হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকেরা।
এর আগেও এই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ বাধা পড়েছিল বাসন্তীর ভাঙনখালি এলাকায়। সেখানেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না দিয়ে জমি নেওয়া যাবে না বলে বিক্ষোভ দানা বাঁধে। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্থানীয় কিছু মানুষ। অবশেষে কলতলা থেকে ভাঙনখালি মোড় পর্যন্ত প্রায় ১ কিমি রাস্তা সম্প্রসারণ হয়নি। আদালতের রায় স্থানীয়দের পক্ষেই গিয়েছিল। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না দিয়ে জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না বলে রায় দেয় আদালত। সে কারণে পূর্ত দফতরের তরফে ওই ১ কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রসারণ সম্ভব হয়নি। ফলে গোটা বাসন্তী রাজ্য সড়ক যেখানে প্রায় ১৫-২০ ফুট চওড়া হয়েছে, ভাঙনখালিতে তার উল্টো। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ সেখানে দিয়েই জমি অধিগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
তবে এবার ভাঙনখালির বাসিন্দাদের পথেই হাঁটতে শুরু করেছেন দক্ষিণ বটতলা মৌজার বেশ কিছু জমির মালিক। তাঁদেরও দাবি, জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। কোনও রকম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী, রাস্তার দু’পাশ থেকে সমান ভাবে জমি অধিগ্রহণ না করে একদিক থেকেই প্রায় ২০-২২ ফুট জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। এর ফলে বহু মানুষের বাড়ি, দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছে। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে জমি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের।
অভিযোগকারী দিলীপ মণ্ডল, সুভাষ মণ্ডলেরা জানালেন, তাঁরা উন্নয়নের জন্য নিজেদের জমি ছাড়তে রাজি। কিন্তু সরকার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিক। তা ছাড়া, রাস্তার দু’পাশ থেকে সমান ভাবে জমি নেওয়া হোক।
বাসন্তীর বিডিও সৌগতকুমার সাহা বলেন, ‘‘পূর্ত দফতরের জায়গাই শুধুমাত্র নেওয়া হয়েছে। যাঁদের বাড়ি, দোকান পূর্ত দফতরের জায়গায় ছিল, তাঁদের তিন নোটিস দিয়ে নির্মাণ ভাঙতে বলা হয়েছে। ওই এলাকায় কারও রায়তি সম্পত্তি রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘ভাঙনখালি এলাকায় যাঁদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য, তাঁদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।’’
বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, ‘‘রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য সরকারি জমিই অধিগ্রহণ করা হয়েছে ওই এলাকায়। গোটা বিষয়টি ব্লক প্রশাসন এবং পূর্ত দফতর দেখছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy