প্রতীকী চিত্র
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটের বছর আটান্নর ইউনুস মোল্লা বছর বারোর নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর রাতের ধর্ষণের ঘটনায় ঢোলাহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। ধরা পড়ে ইউনুস। ওই মামলায় এক মাসেরও কম সময়ে পকসো আইনে ৮ নভেম্বর পুলিশ চার্জশিট জমা দিয়েছে কাকদ্বীপ আদালতে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলারই সাগরের উত্তর হারাধনপুরের বছর তেরোর মেয়েকে তার বাবাই দিনের পর দিন ধরে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ২৯ জুন রাতে মেয়েটির মা সেই ঘটনা দেখে ফেলেন। পর দিন সাগর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন তিনি। পুলিশ জানায়, ওই মামলার পকসো আইনে ২৬ জুলাই চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল।
তবে এ সব ঘটনা ব্যতিক্রম বললে অত্যুক্তি হয় না। মানুষের অভিজ্ঞতায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চার্জশিট পেশে ঢিলেমি থাকে তদন্তকারীদের। ফলে কখনও পিছিয়ে যান সাক্ষী। কখনও বিচারকের সামনে সওয়াল-জবাবে তাঁরা ঘটনার অনুপুঙ্খ বিববরণ জানাতে ভুল করেন। কারণ, যত দিন যায়, স্মৃতি ফিকে হতে থাকে। চার্জশিট পেশ হতে দেরি হলে পিছিয়ে যায় রায় ঘোষণা। সব মিলিয়ে সুবিধা পেয়ে যায় অভিযুক্ত পক্ষই।
পুলিশেরই একটি সূত্র জানাচ্ছে, ঢোলাহাটের গ্রামে বছর তেরোর ছাত্রীকে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে ফেরার পথে বরুণ বৈদ্য নামে এক যুবক জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পর দিন থানায় লিখিত অভিযোগ হয়। ওই মামলায় চার্জশিট জমা পড়েছিল প্রায় ৭ মাস পরে। এমন উদাহরণ প্রচুর।
কাকদ্বীপ আদালতের আইনজীবী দেবাশিস দাস, প্রদীপ পাখিরাদের মতো অনেকেই মনে করেন, কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের গাফিলতিতে অপরাধীরা ঠিকঠাক সাজা পায় না। পুলিশ চার্জশিট দিতে দেরি করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy