বাজি উদ্ধার করল রামনগর থানার পুলিশ। ছবি: দিলীপ নস্কর
কালীপুজোর আগে বিভিন্ন জায়গা থেকে যে ভাবে বাজি বাজেয়াপ্ত করছিল পুলিশ, তাতে এটা বোঝাই যাচ্ছিল, বাজি মজুত করেছেন বহু ব্যবসায়ী। চোরাগোপ্তা সে সব বিক্রি হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে বিস্তর। ফলে, সে সব বাজি যে কিছু ফাটবেই, সে আশঙ্কা ছিল।
হলও তাই। শনিবার রাত যত বেড়েছে, বাজি ফেটেছে দুই জেলার নানা প্রান্তে। তবে পরিচিত তাণ্ডব ফেরেনি। পুলিশ বহু জায়গায় কড়া ভূমিকা নিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত ৫০ জনকে। উদ্ধার হয়েছে আরও বাজি। উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ এবং দক্ষিণের ক্যানিংয়ে সচেতনতার লেশমাত্র ধরা পড়েনি। দেদার বাজির তাণ্ডব ছিল গ্রামীণ এলাকাগুলিতে।
বনগাঁয় এ বার বাজির তাণ্ডব ছিল অনেক কম। তবে পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। কিছু মানুষ যে সচেতন হয়েছেন, তাতেই স্বস্তি পাচ্ছেন শহরবাসী। এখানেও গ্রামের দিকেই বাজি বেশি ফেটেছে। বনগাঁ খয়রামারিতে স্টেডিয়ামের পাশের মাঠে নিয়মিত শরীরচর্চা করেন একদল যুবক। ফি দীপাবলিতে সেখানে তাঁরা বাজি পোড়ান। এ বছর বাজি না পুড়িয়ে চাঁদা তুলে মোমবাতি কিনে মাঠে সাজিয়ে দীপাবলি পালন করেছেন তাঁরা। হাবড়াতেও এ বার বাজি কম ফেটেছে।
অশোকনগরে অবশ্য বাজির দাপট ছিল বেশি। বাজি ফাটানোর অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। বসিরহাটে সন্ধ্যার দিকে বাজি ফাটেনি। কিন্তু রাত বাড়তেই শুরু হয় শব্দতাণ্ডব। বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে শব্দ এবং আতশবাজি পোড়ানো শুরু হয়। চলে গভীর রাত পর্যন্ত। দেগঙ্গা, বেড়াচাঁপা, কাটিয়াহাট, বাদুড়িয়া, টাকি, হাড়োয়া, হিঙ্গলগঞ্জেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বাজির শব্দ। পুলিশের দাবি, বাজি ফাটানোর অভিযোগে বসিরহাটের ভ্যাবলা থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার ডায়মন্ড হারবারের রামনগরের বিভিন্ন বাজার থেকে লক্ষাধিক টাকার বাজি উদ্ধার করে পুলিশ। ধ্রুব মণ্ডল নামে এক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কালীপুজোর রাতে ডায়মন্ড হারবারে বাজির শব্দ সে ভাবে শোনা যায়নি। রাতের দিকে বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে কিছু আতশবাজি পুড়তে দেখা গিয়েছে। বাজির তাণ্ডব সে ভাবে ছিল না ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। তবে রাতের দিকে কিছু এলাকায় বাজির ফাটতে শোনা গিয়েছে। বাজি ফাটানোর দায়ে বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছে ১৫ জন। দু’একটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বাজি ফাটলেও শব্দ-তাণ্ডব ছিল না ভাঙড়ে। পুলিশের সক্রিয়তাও চোখে পড়েছে। শনিবার রাতে ভাঙড় থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরে মনোহারি দোকানের আড়ালে লুকিয়ে শব্দবাজি বিক্রির অভিযোগে রণজিৎ সাধুখাঁ নামে এক বিক্রেতাকে পাকড়াও করে পুলিশ। তার দোকান থেকে প্রচুর বাজি উদ্ধার হয়। শুক্রবার সন্ধ্যাতেও চন্দনেশ্বরের রাজাপুর এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে বাজি বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করে ভাঙড় থানার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy