দুই পরিবারই মেয়েকে হািরয়েছে। দু’ক্ষেত্রেই দুই মেয়েকে ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজা হয়েছে অপরাধীদের। তাই দুই জেলার (হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা) ওই দুই বাড়ির লোকেরা চেয়েছিলেন, আর জি করের চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনে দোষী সঞ্জয় রায়েরও ফাঁসির সাজা হোক। না হওয়ায় ওঁরা কার্যত হতাশ!
লজেন্সের লোভ দেখিয়ে গত ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় হুগলির একটি গ্রামে পাঁচ বছরের শিশুকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করেছিল এক ব্যক্তি। কাঠ আর বস্তা চাপা দিয়ে ঘরেই রেখেছিল দেহ। ঘটনার ৫৫ দিনের মাথায়, গত শুক্রবার দোষী অশোক সিংহকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে চুঁচুড়ার ‘পকসো’ আদালত। আর জি কর মামলার রায় শোনার জন্য সোমবার দুপুরে শিশুটির বাবা-মা কাজ ফেলে টিভির সামনে বসেছিলেন। সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শুনে শিশুটির মায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওরা সমাজের বুকে বেঁচে থাকবে, ভাবতেই অবাক লাগছে! ভেবেছিলাম ফাঁসির সাজা হবে। হল না। আমরা খুশি নই। হাই কোর্টে সঠিক বিচার হোক,এটাই চাই।’’
শিশুটি বাবা দিনমজুর। তিনি বলেন, ‘‘আর জি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে আমিও পথে নেমেছিলাম। পরে আমার মেয়ের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটে। মেয়ের মামলার রায়ে আমরা খুশি। কিন্তু আজকের রায়ে তা হতে পারছি না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমাদের মনে হয়, সঞ্জয়ের সঙ্গে আরও কিছু লোক যুক্ত। তাদের সকলের ফাঁসির দাবি জানাই। নিহত চিকিৎসকের বাবা-মায়ের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব।’’
গত অক্টোবরের গোড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার গ্রামীণ এলাকায় টিউশন থেকে সন্ধ্যায় ফেরার পথে বছর নয়েকের এক বালিকাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল মোস্তাকিন সর্দার নামে এক যুবক। রাতে বাড়ির কাছে জলাজমিতে দেহ মেলে। সেই অপরাধের দায়ে ঘটনার ৬২ দিনের মাথায়, গত ৬ ডিসেম্বর মোস্তাকিনকে ফাঁসির সাজা দেয় বারুইপুর আদালত। সোমবার রায় ঘোষণার পরে বালিকার মা বলেন, ‘‘মেয়ের বিচার পেয়েছি। অপরাধীর ফাঁসির আদেশ হয়েছে। আর জি করের ডাক্তার-দিদির বিচার আমরাও চেয়েছিলাম। এ ক্ষেত্রেও ফাঁসি হলেই ভাল হত।’’ বালিকার বাবার কথায়, ‘‘আর জি করে যা ঘটেছিল, তারও উপযুক্ত সাজা ফাঁসি। ভেবেছিলাম, বিচারক ফাঁসিরসাজাই দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy