Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

টুকরো খবর

একশো দিনের কাজ প্রকল্পে টাকা না পাওয়ায় পঞ্চায়েত গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার হাবরা-১ ব্লকের পৃথীবা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বদরহাট-গুমা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এলাকার শ’দুয়েক মানুষ তাতে সামিল ছিলেন।

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:২৫
Share: Save:

টাকার দাবিতে তালা পঞ্চায়েতে, সড়ক অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাবরা

একশো দিনের কাজ প্রকল্পে টাকা না পাওয়ায় পঞ্চায়েত গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার হাবরা-১ ব্লকের পৃথীবা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বদরহাট-গুমা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এলাকার শ’দুয়েক মানুষ তাতে সামিল ছিলেন। প্রায় দু’ঘণ্টা অবরোধের পরে পঞ্চায়েত প্রধান টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিক্ষোভ চলাকালীন হাবরা থানার পুলিশের উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের লিপিকা দাসের সঙ্গে বিক্ষোভকারী দলের পাঁচ জনের বৈঠক হয়। প্রধান প্রতিশ্রুতি দেন, প্রশাসনের তরফে পনেরো দিনের মধ্যে বকেয়া টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা না হলে তিনি পঞ্চায়েতের তহবিল থেকে ওই টাকা দিয়ে দেবেন। লিপিকাদেবী বলেন, “প্রায় পাঁচ মাস হয়ে গিয়েছে ওঁরা কাজ করেছেন। তবু টাকা পাননি। ওই প্রকল্পে প্রায় ১ লক্ষ টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে।” হাবরা-১ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, শুধু ওই পঞ্চায়েত এলাকাতেই কাজ করা মানুষেরা টাকা পাচ্ছেন না তা নয়। ব্লকের সাতটি পঞ্চায়েতেই একই সমস্যা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা। গোটা বিষয়টি জেলাশাসককে জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “কেন্দ্র সরকার একশো দিনের কাজ প্রকল্প তুলে দিয়েছে। অথচ রাজ্যের বকেয়া ২ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। এতে আমরা কী করতে পারি।”

ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডায়মন্ড হারবার

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হেনস্থায় মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ল মঙ্গলবার। এ দিন মদন হালদার নামে ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে গেলে পাড়ার মহিলারা বিক্ষোভ দেখান। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্তের আত্মীয়-স্বজনেরা একজোট হয়ে রীতিমতো হুমকি দিচ্ছে পরিবারটিকে। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে লালবাটি এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রীর পরিবার জানিয়েছে, গত রবিবার মদন সাঁতরা যৌন হেনস্থা করতে গেলে মেয়ে চিত্‌কারে করে ওঠে। পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। সোমবার ডায়মন্ড হারবার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এ দিন মেয়েটির বাবা বলেন, “আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়েই বিপদে পড়ে গেলাম বলে মনে হচ্ছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির পরিবার থেকে আমাকে নানা রকম ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দোকানও জ্বালিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে। গতকাল থেকে হাসপাতালে ফেলে রাখার ২৪ ঘণ্টা পরে আমার মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে।” ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালের সুপার অবশ্য ডাক্তারি পরীক্ষায় দেরি হওয়ার কারণ হিসাবে জানান, পুলিশের তরফ থেকে দেরিতে রিক্যুইজিশন আসায় কিছুটা দেরি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, রিক্যুইজিশন আগেই পাঠানো হয়েছিল। ওই মেয়েটির পরীক্ষা-নিরীক্ষার দায়িত্বে থাকা চিকিত্‌সক সকাল থেকে অন্য দু’টি অস্ত্রোপচারে ব্যস্ত থাকায় কিছুটা দেরি হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার থানা সূত্রে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, মেয়েটির পরিবারকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ডাক্তারি রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় পুলিশ।

মাটি কাটার গাড়ির ধাক্কায় আহত ব্যক্তি
নিজস্ব সংবাদদাতা • দেগঙ্গা

মাটি কাটার গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হলেন এক ব্যক্তি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কমল সাধুখাঁ নামে ওই ব্যক্তিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করেন। মঙ্গলবার সকালে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা রথতলার এই ঘটনার পরে ক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক গাড়িটিতে ভাঙচুর করেন। গাড়ির চালক-সহ দু’জনকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ওই এলাকা দিয়ে পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী কমলবাবু সাইকেল চালিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন। সে সময়ে একটি মাটি কাটার গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারলে তিনি রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাঁ চোখটি। মাথাও ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মদ্যপ অবস্থায় চালক গাড়ি চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সম্প্রতি দেগঙ্গায় মাটি কাটার গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু ও আহত হয়েছেন কয়েকজন। অবৈধভাবে দিনরাত মাটি কাটা এবং মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্যই এই ঘটনা প্রায়শই ঘটছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

টাকা লুঠ বাদুড়িয়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাদুড়িয়া

দম্পতির কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা লুঠ করে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। সোমবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়ায়। পুলিশে অভিযোগ করেন আবদুল বারি নামে ওই ব্যক্তি। পুলিশ দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আবদুল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বাদুড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ৫৩ হাজার টাকা তুলে তাঁরা একটি ভ্যান রিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। টাকাগুলি ছিল একটি হাত ব্যাগে। মাঝপথে দুই যুবক ভ্যানে ওঠে। কিন্তু থানার কাছ দিয়ে ভ্যানটি যাওয়ার সময় তারা হঠাত্‌ নেমে যায়। এতে সন্দেহ হয় ওই দম্পতির। এরপরেই তাঁরা দেখেন, ব্যাগের একপাশে ব্লেড দিয়ে কাটা। ভিতরের টাকাও উধাও। সম্প্রতি বাদুড়িয়ায় পকেটমারদের উত্‌পাত বেড়ে চলেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।

হকারদের আন্দোলন
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডায়মন্ড হারবার

রেল স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম চত্বর থেকে হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবারে বিক্ষোভ দেখাল সিটু সমর্থিত হকারর্স ইউনিয়ন। সারা দেশে ও চলতি ট্রেনে হকার নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই তার ইঙ্গিত পেয়েই আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন জায়গার হকার ইউনিয়নগুলি। পশ্চিমবঙ্গ রেল হকার ইউনিয়নের ডায়মন্ড হারবার লোকাল কমিটির তরফে এ দিন স্টেশন চত্বরেই দুপুর থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। সংগঠনের স্থানীয় নেতা রউফ মল্লিক বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন থেকে দাবি করে আসছি, টাকা নিয়েই আমাদের ব্যবসা করতে দিক রেল। তার বদলে এখন উচ্ছেদর কথা বলা হচ্ছে।” স্টেশন ম্যানেজারের দফতর সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, এখনও এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে হকার উচ্ছেদের কোনও নির্দেশ পূর্ব রেলের তরফে জারি করা হয়নি।

ফুটবল প্রতিযোগিতা

রামানন্দপুর আজাদ সঙ্ঘের পরিচালনায় দু’দিন ব্যাপী ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়েছিল। রবিবার, ফাইনালে মুখোমুখি হয় বসিরহাটের নিবাটি সঙ্ঘ এবং গোপালপুরের সামাদ একাদশ। নির্ধারিত সময়ে গোল হয়নি। পেনালন্টিতে ২-২ হয়। টসের মাধ্যমে জয়ী হয় নিবাটি সঙ্ঘ। ফাইনালে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন গোপালপুরের গোলরক্ষক মিলন মণ্ডল। প্রতিযোগিতার সেরা, নিবাটি সঙ্ঘের জনসন। মোট ১৬টি দল টুর্নামেন্টে যোগ দিয়েছিল।

ঘরে ফেরার পথ...। খেত থেকে খড় কেটে ফিরছেন চাষিরা। কদম্বগাছিতে সুদীপ ঘোষের তোলা ছবি।

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy