Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

টুকরো খবর

স্ত্রীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঘুটিয়ারিশরিফ থানার কাঁথি রেলগেট এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম বধূর নাম সাহানারা বিবি। তাঁর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী আবদুল খালেক সর্দারের খোঁজ করছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর বাইশ আগে সাহানারার সঙ্গে বিয়ে হয় খালেকের। ওই দম্পতির তিন ছেলেমেয়ে। স্বামীর নেশা করা পছন্দ করতেন না সাহানারা। বিয়ের পর থেকেই এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগে থাকত।

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৩৫
Share: Save:

স্ত্রীকে গুলি করে পলাতক স্বামী
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং

স্ত্রীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঘুটিয়ারিশরিফ থানার কাঁথি রেলগেট এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম বধূর নাম সাহানারা বিবি। তাঁর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী আবদুল খালেক সর্দারের খোঁজ করছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর বাইশ আগে সাহানারার সঙ্গে বিয়ে হয় খালেকের। ওই দম্পতির তিন ছেলেমেয়ে। স্বামীর নেশা করা পছন্দ করতেন না সাহানারা। বিয়ের পর থেকেই এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগে থাকত। অভিযোগ, প্রায়শই সাহানারাকে তাঁর স্বামী মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করতেন। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বছরখানেক ধরে ভাই আনার সর্দারের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন ওই বধূ। কিন্তু তাঁর সন্তানরা বাবার কাছেই থাকত। স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলাও করেছিলেন সাহানারা। সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য খালেক নানা ভাবে সাহানারাকে চাপ দিতেন বলে অভিযোগ। খুনেরও হুমকি দিতেন। একবার আনারের বাড়িতে চড়াও হয়ে সাহানারা ও আনারকে খালেক মারধর করেন বলেও অভিযোগ। তা নিয়েও থানায় নালিশ জানানো হয়েছিল। এ দিন রাতে আনার বাড়িতে না থাকার সুযোগে ফের খালেক ওই বাড়িতে চড়াও হয়। মারধর করতে থাকে সাহানারাকে। কোনও রকমে সাহানারা পালাতে গেলে স্বামী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান বলে অভিযোগ। গুলি পায়ে লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সাহানারা। গুরুতর জখম অবস্থায় গ্রামবাসীরা তাঁকে প্রথমে ঘুুটিয়ারিশরিফ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে পাঠানো হয় কলকাতা চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে।

বৃদ্ধার প্রাণ বাঁচাল সিভিক ভলান্টিয়ার্সরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং

অসুস্থ এক বৃদ্ধাকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে চিকিত্‌সার ব্যবস্থা করালেন ক্যানিং থানার সিভিক ভলান্টিয়ার্সরা। তাহেরজান বিবি নামে ওই বৃদ্ধার বাড়ি ক্যানিংয়ের সঞ্জয় পল্লির দুর্গা কলোনিতে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বাজার থেকে ওই বৃদ্ধা রিকশা করে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় হঠাত্‌ অসুস্থ হয়ে ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডের কাছে রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান তিনি। সে সময়ে ওই এলাকায় কর্তব্যরত ছিলেন ক্যানিং থানার সিভিক ভলান্টিয়ার্সরা। তাঁরাই ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে তাঁর চোখে মুখে জল দিয়ে চিকিত্‌সার ব্যবস্থা করেন। ক্যানিং হাসপাতালের এক চিকিত্‌সক জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সিভিক ভলান্টিয়ার্সরা যদি দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে না আসতেন, তা হলে প্রাণে বাঁচানো যেত না। পরে খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন। স্বামী মোজহার শেখ বলেন, “আমি সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের কাছে কৃতজ্ঞ।” একজনের প্রাণ বাঁচিয়ে রীতিমতো খুশি রেজাউল মণ্ডল, সুজিত সাহা, অরূপকুমার মণ্ডল এবং বিক্রম দাস নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার্সরাও।

মদ খাওয়ার প্রতিবাদ, প্রহৃত যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ

মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় এক যুবককে মার খেতে হল। শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে দত্তপুকুর থানার গীতাঞ্জলি পল্লি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিত্যানন্দ ঘোষ নামে ওই যুবককে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রবি সাহা নামে এক ভ্যানচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নিত্যানন্দের দিদি কল্যাণী ঘোষ। পুলিশ তার খোঁজ শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই ওই এলাকার নিত্যানন্দের পানের দোকানের পিছনে বসে মদ খাওয়ার চল হয়েছে। এর প্রতিবাদ করেন নিত্যানন্দ। তাই ওই ভ্যান চালক তার দলবল নিয়ে এসে ওই যুবককে মারধর করে বলে অভিযোগ। সে সময়ে সকলেই নেশাগ্রস্ত ছিল। পুলিশের দাবি, কালীপুজোর সময়ে নিত্যানন্দের দোকান থেকে জিনিস বাকিতে কিনেছিলেন ওই এলাকারই বাসিন্দা রবি। টাকা না দেওয়ায় নিত্যানন্দের সঙ্গে তাঁর বিবাদ চলছিল। দু’জনে এক সঙ্গে বসে মদও খেতো। শনিবার নিত্যানন্দ বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে রবি মারধর করে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। রবিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”

নেশার ওষুধ উদ্ধার বাদুড়িয়ার গ্রামে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

সীমান্তে পাচারের আগে বিএসএফের তত্‌পরতায় ধরা পড়লো শতাধিক নেশার ওষুধ ও পাখি মারার কিছু বন্দুক। জওয়ানেরা দুষ্কৃতীদের এক জনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়ার পূর্ব জয়নগর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সরিফ বিশ্বাসের বাড়ি বসিরহাটের গাছা গ্রামে। তার কাছ থেকে তিনশো বোতল নিষিদ্ধ কাশির ওষুধ ও ৪টি পাখি মারার বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। জিনিসপত্রগুলি বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে ছিল বলেই প্রাথমিক তদন্তের পরে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা।

পুড়িয়ে খুনের অভিযোগে ধৃত

এক মহিলার গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে পুলিশ তাঁর ভাসুর-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, হাড়োয়ার গোপালপুর গ্রামে বাড়ি সঙ্গীতা কাহার (২৭) পাঁচ দিন আগে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। তাঁর সঙ্গীতার বাবা রবিন কাহারের দাবি, পণের দাবিতেই পুড়িয়ে মারা হয়েছে মেয়েকে। জামাই মধু কাহার-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তিনি। মধু-সহ কয়েক জন পালায়। শনিবার রাতে সঙ্গীতার ভাসুর গদাধর এবং দুই জা সোনালি ও পূর্ণিমা বাড়িতে ফিরেছে জানতে পারে পুলিশ গিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। অন্য একটি ঘটনায়, এ দিন রাতে হাড়োয়া থানার পুলিশ ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হওয়া কুখ্যাত দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের কাছ থেকে ন্যাপলা, ভোজালি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মহিউদ্দিন মোল্লা এবং বাপি মোল্লার বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ঘটকপুকুর এলাকায়।

আলোচনা সভা কলেজে

ইউজিসি-র সহায়তায় জাতীয় সেমিনার হয়ে গেল গোপালনগরের নহাটা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল স্মৃতি কলেজে। শনি-রবিবার কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ওই আলোচনা সভার আয়োজন হয়েছিল। সেমিনারের বিষয় ছিল, ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড হিউম্যান ডেভলপমেন্ট, দ্য কারেন্ট ইন্ডিয়ান সিনারিও।’ আলোচনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপক আমন্ত্রিত ছিলেন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ কামালউদ্দিন বলেন, “মানবাধিকার ও মানব উন্নয়ন সম্পর্কে সকলকে সচেতন করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি অ্যাকাডেমিক উদ্দেশ্যও আছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy