ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব, ধৃত প্রধান শিক্ষক
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাবরা
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন প্রধান শিক্ষক। শনিবার দুপুরে হাবরার খোরা এলাকার একটি স্কুলের ঘটনা। ওই প্রধান শিক্ষকের নাম সঞ্জয় দাস। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে ছাত্রী জানিয়েছে, কয়েক মাস ধরে স্কুলে গেলেই সঞ্জয় তাকে অফিস ঘরে ডেকে নিয়ে অশালীন কথাবার্তা বলতেন, এমনকী মাস খানেক আগে প্রেমের প্রস্তাবও দেন। বাড়ি ফেরার সময়ে তিনি তার পিছু নিতেন বলেও তার দাবি। সপ্তাহ খানেক আগে সমস্ত কথা ছাত্রী তার সহপাঠী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্থানীয়দের জানায়। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সঞ্জয় স্কুলে গেলে স্কুল চত্বরে জড়ো হয়ে এলাকার মানুষ তাঁর গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা অবিলম্বে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগও দাবি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে। গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে সে দিকে ইট-পাটকেল ছোড়ে জনতা। ওই ছাত্রী এর পর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে। তিনি অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, স্কুলের অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করায় তাঁর অনেক শত্রু তৈরি হয়েছিল। চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এ বিষয়ে বলেন, “শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করে প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর অশালীন আচরণের বিরুদ্ধে ওই স্কুলেরই আরও দুই ছাত্রীও বয়ান দিয়েছে।”
ক্যানিংয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন অভিষেক
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সভায় সেই বিজেপিকেই আক্রমণ করলেন সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ক্যানিংয়ের জীবনতলা ফুটবল মাঠের সভায় ছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়-সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় দেড় ঘণ্টার সভায় হাজার ষাটেক লোক হয়েছিল। অভিষেক এ দিন অভিযোগ করেন, বিজেপি রাজ্যে অশান্তি বাধাতে চাইছে। তবে মানুষ তাতে সাড়া দেবে না বলেই তাঁর দাবি। তাঁর কথায়, “এই জেলার ৩১টি বিধানসভা আসনের সবকটিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন। বিজেপি কোনও স্থানেই থাকবে না।” বিভিন্ন রাজ্যে সারদা কেলেঙ্কারি হয়েছে। কিন্তু একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলেও তাঁর দাবি।
মাকে শ্বাসরোধ করে খুনের নালিশ, ধৃত ছেলে
মাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ হাবরা থানার মছলন্দপুর নতুনপল্লি এলাকা থেকে সন্ধ্যা দাস (৫৮) নামে ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর ভাই বিধান চৌধুরীর অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিন পুলিশ সন্ধ্যাদেবীর ছেলে পূর্ণচন্দ্র দাস-সহ বাড়ির ভাড়াটিয়া মিলন চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী অষ্ট চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার ধৃতদের বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক পূর্ণচন্দ্রকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজত এবং আরও দু’জনকে চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বাড়ির ভাড়াটিয়ারা পূর্ণচন্দ্রকে সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যাদেবীর তিন মেয়ে ও এক ছেলে। পূর্ণচন্দ্র নানা রকম অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। যে বাড়িতে সন্ধ্যাদেবী থাকতেন, সেই বাড়িও কিছু দিন আগে নিজের নামে লিখে নেয় পূর্ণচন্দ্র। তারপরও মাকে ওই বাড়িতে থাকতে দিতে রাজি হয়নি সে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ছেলের অসামাজিক কাজে নিষেধ করতেন মা, সে জন্যই তাঁর উপরে আক্রোশ ছিল ছেলের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের আহ্বানে
এবং ক্যানিং-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে জীবনতলার
জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সামসুল হুদা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy