গাড়ির ড্যাশবোর্ডে রয়েছে তাজা বোমা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-আইএসএফ তরজা। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। বোমাবাজি, গুলি চালানোর মধ্যে উত্তেজনা ছড়াল তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম-ঘনিষ্ঠ এক জনের গাড়িতে বোমা মেলার ঘটনায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, যে গাড়িতে বোমা মিলেছে, তার মালিকের নাম বাঁকি গাজি। তিনি তৃণমূল নেতা এবং আরাবুলের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত।
মঙ্গলবার আরাবুল ইসলাম, তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলাম-সহ ভাঙড়ের তৃণমূল নেতৃত্ব ও কর্মীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্ধে। এমনকি, তৃণমূল নেতৃত্বের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ারও অভিযোগ উঠেছে। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির উপস্থিতিতেই এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন নওশাদ-সহ স্থানীয় আইএসএফ নেতারা। এর মধ্যে আরাবুল-ঘনিষ্ঠের একটি সাদা রঙের গাড়ির ড্যাশবোর্ডে বোমা মেলে। অভিযোগ উঠতেই আরাবুল বলছেন, এটা আইএসএফের কাজ। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে আইএসএফ। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল নেতা গাড়িতেই বোমা মজুত করেছিলেন। আরাবুলের অভিযোগ, এই কাজ ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বাহিনীর। তাঁর কথায়, ‘‘গাড়ির ড্যাশবোর্ডে একটি বোমা রেখে কে যাতায়াত করে! বোমা থলে কিংবা ব্যাগে নিয়ে যাওয়া হয়।’’ এর পর তিনি পুরো ঘটনার জন্য আইএসএফকে দায়ী করেন। অন্য দিকে, দীর্ঘ ক্ষণ কেটে যাওয়ার পরও পুলিশের তরফে এই বোমা উদ্ধারের কোনও প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায়নি।
মঙ্গলবার আরাবুল এবং তাঁর ছেলে হাকিমুল-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা ও কর্মীর গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাও ছোড়া হয় বলে আইএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। বস্তুত, আইএসএফের মনোনয়ন ঘিরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই অশান্তির বাতাবরণ ভাঙড়ে। বার বার বোমা বিস্ফোরণ কেঁপে উঠেছে এলাকা। অন্য দিকে, মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে বিডিও অফিসের কাছেই গুলিবিদ্ধ হন এক আইএসএফ প্রার্থী। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বলে অভিযোগ। দফায় দফায় গুলি, বোমা এবং হাতাহাতিতে পুলিশের এক এসআই আহত হয়েছেন বলে খবর। যা নিয়ে নওশাদ অভিযোগ করেছেন পুলিশকে সামনে রেখে আদতে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল।
(এই প্রতিবেদনের প্রথমে আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলামের গাড়ির ড্যাশবোর্ডে বোমা মেলে বলে লেখা হয়েছিল। যে তথ্য ঠিক নয়। এ জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy