প্রতীকী ছবি।
প্রেমের টানে স্বামী ও সন্তানকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘরে উঠেছিলেন বধূ। তাঁকেই পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল সেই প্রেমিকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে মহেশতলা থানার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেলেডাঙা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। শনিবার সকালে ঘরের ভিতর থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই বধূর দেহ। সেটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শম্পা মন্ডল (৩০)। এই ঘটনায় সোমনাথ রায় নামে অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ বছর আগে বিকাশ মণ্ডল নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় শম্পার। তাঁদের ১০ বছরের ছেলেও রয়েছে। বছর তিনেক আগে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি হওয়ার ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন শম্পা। সেখানেই তাঁর সঙ্গে সোমনাথের পরিচয় এবং পর্যায়ক্রমে প্রেম। এর পরেই ছেলেকে বাপের বাড়িতে রেখে মহেশতলায় সোমনাথের ভাড়া বাড়িতে এসে ওঠেন শম্পা। মৃতের পরিবারের দাবি, শুক্রবার সোমনাথ ফোন করে জানায়, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে গুরুতর আহত হয়েছেন শম্পা। তৎক্ষণাৎ বাপের বাড়ির সদস্যরা সোমনাথের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান, বাথরুমে মেয়ের দেহ পড়ে রয়েছে।
শম্পার দাদা গৌতম নস্কর জানান, তাঁর বোনের মুখ ও শরীরের একাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এ দিকে, ঘরের সিলিন্ডার যথাস্থানে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। এর পরেই শম্পাকে পরিকল্পিত ভাবে খুনের অভিযোগ তুলে মহেশতলা থানার দ্বারস্থ হয় মৃতার পরিবার। তার ভিত্তিতেই সোমনাথকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গৌতম বলেন, ‘‘সোমনাথের সঙ্গে বোনের কোনও বৈধ সম্পর্ক ছিল না। বিয়েও হয়নি ওঁদের। সম্পত্তির লোভেই পরিকল্পনা করে শম্পাকে খুন করা হয়েছে। আমারা চাই, অভিযুক্তের কড়া শাস্তি হোক।’’
শনিবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হলে ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy