প্রতীকী ছবি।
বিজেপির বিক্ষোভে সামিল হয়ে গ্রেফতার হলেন হালিশহরের প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান রাজা দত্ত। কিছু দিন আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এর আগে রাজার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অসামাজিক কাজের অভিযোগ উঠলেও পুলিশ তাঁকে ধরতে পারেনি। দীর্ঘ দিন এলাকা ছাড়া ছিলেন রাজা। পরে ফিরে এসে পুরসভায় নিজের চেয়ারে বসা শুরু করলেও পুলিশের খাতায় ছিলেন অধরাই। কিছু দিন আগে তিনি যোগ দেন পদ্মশিবিরে। তারপরে উপ পুরপ্রধানের পদ খোয়ান।
কেন গ্রেফতার হলেন রাজা?
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। নৈহাটির তৃণমূল নেতা উমেশ সাউ ওরফে কাউকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে বিজেপি কাউন্সিলর গণেশ দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর মুক্তির দাবিতে শুক্রবার রাতে নৈহাটি থানা ঘেরাও করে বিজেপি। শনিবার সকাল থেকে দফায় দফায় ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের নানা জায়গায় অবরোধ হয়। তবে বৃষ্টিতে ভিড় খুব জমেনি। অবরোধও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। হালিশহরে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। বাধা দিলে গ্রেফতার করা হয় রাজাকে।
তৃণমূলে থাকাকালীন বিজেপি অভিযোগ তুলত, শাসক দলের হাত মাথায় থাকার ফলেই ধরা পড়ছেন না রাজা। এ দিন গ্রেফতার হলেও জামিনযোগ্য অভিযোগই ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ব্যারাকপুর আদালত থেকে জামিনও পেয়ে গিয়েছেন রাজা। ব্যারাকপুরের ডিসি (জোন-১) অজয় ঠাকুর বলেন, ‘‘অপরাধের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট ধারায় মামলা হয়েছিল রাজা দত্তর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও যে সব অভিযোগ আছে, সেগুলির তদন্ত চলছে।’’
জখম তৃণমূল নেতা উমেশের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। কলকাতার নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন তিনি। শুক্রবার রাতে নৈহাটির গৌরীপুর এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসেছিলেন উমেশ। অভিযোগ, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বিজেপি কাউন্সিলর গণেশ দাসের নেতৃত্বে কয়েক জন দুষ্কৃতী চড়াও হয় কাঁর উপরে। লোহার রড, বাঁশ দিয়ে পেটানো হয় উমেশকে। বোতল ভেঙে মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
রাতেই নৈহাটি থানার পুলিশ গণেশকে গ্রেফতার করে। প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিজেপি। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। গণেশের মুক্তির দাবিতে শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ।
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের অভিযোগ, শুক্রবার উমেশ বিজেপির এক কর্মীকে দলবল নিয়ে মারধর করেছিলেন। অভিষেক সাউ নামে ওই বিজেপি কর্মীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন গণেশ। সেখান থেকেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। কাউকে মারধরের ঘটনায় গণেশ জড়িত নন বলে দাবি অর্জুনের।
তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক অবশ্য বলেন, “গণেশ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। এলাকায় অনেকে তা দেখেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy