তৎপরতা: হেলমেটহীন বাইক চালকদের ধরছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
ফের শহরে বেপরোয়া মোটরবাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামল বসিরহাট থানার পুলিশ।
কয়েক মাস আগে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় স্বর্ণেন্দু রায় নামে শহরের এক ছাত্রের মৃত্যুর পরে পথে নেমেছিল পুলিশ। শুরু হয়েছিল অভিযান। কিন্তু নজরদারিতে পুলিশ কিছুটা ঢিলে দিতেই গত কয়েক মাসে বসিরহাট শহরে বেড়ে যায় অল্পবয়সী মোটরবাইক আরোহীদের দৌরাত্ম্য। মঙ্গলবার শহরের মেধাবী ছাত্র প্রীতম সাহার বাইক দুর্ঘটনার মৃত্যুর পরে ফের পুলিশের পক্ষ থেকে শুরু হল অভিযান।
বুধবার শহরের ইছামতী সেতু, পার্ক, টাউন হল চত্বর, ইছামতী পার্ক-সহ নানা জায়গা এবং স্কুলগুলির সামনে পুলিশ টহল দিয়েছে। হেলমেট না-থাকা, লাইসেন্স না-থাকা বা বাড়তি গতিতে বাইক চালানোর অভিযোগে অন্তত ৪০ জনকে ‘কেস’ দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শুরু হয়েছে প্রচারও। আইসি নাসিম আকতার জানিয়েছেন, বেপরোয়া ভাবে মোটরবাইক চালালেই ধরা হবে। পুলিশের এই অভিযান চলতে থাকবে।
মঙ্গলবার সকালে বসিরহাটের সোনপুকুরের কাছে টাকি রোডে লরির সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বাইক-আরোহী প্রীতমের। তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল না। দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরে পুলিশ যে ভাবে অভিযানে নেমেছে, তার প্রশংসাই করেছেন প্রীতমের বাবা প্রদীপবাবু এবং মা যমুনাদেবী। এ দিন তাঁরা বলেন, ‘‘পুলিশের এমন অভিযান জারি থাকলে হয়তো প্রীতমকে এ ভাবে হারাতে হতো না। অভিযান যেন কোনও ভাবে বন্ধ না হয়।’’ একই কথা শোনা গিয়েছে শহরের আরও কয়েক জন বাসিন্দার মুখেও। তাঁরাও চান, পুলিশি অভিযান যেন চালিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশের পরিসংখ্যানই বলছে, এক বছরে বসিরহাট মহকুমায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু একশো ছাড়িয়েছে। মৃতদের অধিকাংশই মোটরবাইক আরোহী। যাঁদের বেশির ভাগেরই লাইসেন্স ছিল না।
এ দিন মহকুমা পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে মোটরবাইক নিয়ে কোনও রকম দৌরাত্ম্য বরদাস্ত করা হবে না। বাইকে দু’জনের বেশি উঠলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে। একই সঙ্গে অভিভাবকদের সচেতনতা বাড়াতে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচিতেও জোর দেওয়া হচ্ছে। পুরসভার পক্ষ থেকেও প্রচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বসিরহাটের পুরপ্রধান তপন সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy